আরও এক তৃণমূল বিধায়ক CBI জালে ফের গ্রেফতার হল এ রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে শেষরক্ষা হল না মোবাইল ফোন পুকুলে ছুড়ে ফেলে দিয়েও। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁর বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এবার সিবিআই শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারই করল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। সিবিআইকে দেখে তিনি পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি। অবশেষে এই তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করা হল প্রায় টানা তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর । গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছে। সেই মতো তাঁরা এই তৃণমূল বিধায়ককে হাতে পেতে চাইছিলেন।
তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার জন্য যে পুকুরে তিনি নিজের মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন, সিবিআই কর্তারা ইতিমধ্যেই পুকুরের জল তুলে ফেলে সেই ফোন উদ্ধার করেছেন। তবে, এর মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা। তারপরও সিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোবাইলের তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব পুকুরের জলে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও।
এদিকে তদন্তকারীদের অনুমান জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় ফোনও ওই পুকুরেই রয়েছে বলে । তবে, তা পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত । কিন্তু, মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার পর সিবিআই আধিকারিকরা নিশ্চিত, দ্বিতীয় ফোনটিও পুকুরেই আছে। হয়তো তা পুকুরের কাদায় আটকে আছে। সেই ফোন উদ্ধারের জন্য কাদা তুলে ফেলতে নিয়ে আসা হয়েছে জেসিবি মেশিনও।
এই পরিস্থিতিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুরে ফোন ফেলে দেওয়া। আর, তারপরই ছুটে পালানোর চেষ্টা নিয়ে বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি । কংগ্রেস এবং সিপিএমের নেতৃত্ব একসুরেই বলেছেন, ওই বিধায়ক ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন অপরাধের ভাবনা , অপরাধের বোধ থেকে। আর, তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
বিজেপির বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের আবার টিপ্পনি, ওই বিধায়কের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়েছে যে তিনি ‘অ্যাথলিটদের মত তৎপর’। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসও পালটা মুখ খুলেছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে । দলের অন্যতম নেতা ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বাংলায় কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি কখনও তদন্ত চালাতে গিয়ে বাধা পায়নি। তৃণমূলের জমানায় ভবিষ্যতেও কোনো বাধা দেওয়া হবে না কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের।