আর কোনো সমর্থন করবেন না”দেশের জন্য ক্ষতিকারক লোকটিকে , আরএসএসকে এমনি বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আরএসএসের কাছে আবেদন রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে সমর্থন না করার কথা বললেও রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট, তিনি ইঙ্গিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে। দলের সাংগঠনিক এই বৈঠকে বিজেপির বিরুদ্ধেই ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন মমতা। অবশ্য কিছুটা জায়গা পেয়েছে সিপিএমও। কিন্তু হঠাৎ আরএসএসের কাছে এই আবেদনে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। খোদ আরএসএস নেতৃত্ব এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কড়া ভাষায় পাল্টা আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

সম্প্রতি ছট উৎসবে আরএসএসের ক্যাম্প দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে টেনে এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আপনারা ধর্ম করুন, আমার কোনও আপত্তি নেই। আমার আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কিছু বলার নেই। কিন্তু দেশের জন্য যে লোকটা সবচেয়ে ক্ষতিকারক তাঁকে আর সাপোর্ট দেবেন না। আপনারা বিভিন্ন সময়ে অনেককে সমর্থন করেছেন। কিন্তু এই লোকটাকে প্লিজ আর সাপোর্ট করবেন না। জগাই আর মাধাই…দেখলেই মনে হয় খেতে আসছে!’ রাজনৈতিক মহলের মতে, জগাই-মাধাই আর কেউ নন মোদী ও শাহকে ইঙ্গিত করেছেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। মমতা এদিন আরও বলেছেন, ‘ওই পাপিষ্ঠরা মাঠে ছিল বলেই ইন্ডিয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হেরেছে।’ এক্ষেত্রেও ইঙ্গিত যথেষ্ট বলে মনে করে অভিজ্ঞমহল। উল্লেখ্য, মোদীদের ওপর সঙ্ঘের সমর্থন রয়েছে এটা নতুন কিছু নয়।

মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। দক্ষিণবঙ্গ আরএসএসের প্রান্ত প্রচার মুখ বিপ্লব রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সমর্থন করবে না, মমতা অভিষেককে সমর্থন করবে নাকি। মোদী- অমিত শাহ আরএসএসের লোক। ওঁরা আরএসএসের বাইরে নাকি। হঠাৎ আরএসএসের প্রতি ভক্তি এসে গেল কেন। রঘু ডাকাত নাকি, এখন আমি ফেঁসে গিয়েছি। কয়লা চুরি, বালি চুরি সবেতেই। এখন আর এসএস ভাল, ওঁরা ভাল না। ওইরকম হয় নাকি। পায়েস ভাল পায়েসের বাটি ভাল না। ওই সব গল্প চলবে না।’ সঙ্ঘ মনে করে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না সেদিন যদি অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানীরা সহযোগিতা না করতেন। সমাজের মানুষকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার কাজ করছে আরএসএস। সেই কাজটা নষ্ট করতে পারেনি এখানে।

প্রসঙ্গত, দেশের শাসক বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করলেও বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো ও নীতি নির্ধারণে বরাবরই আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সেই সংগঠনের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অত্যন্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *