আর বেশি দিন বাকি নেই মহালয়ার, শুরু হয়ে গেছে রেডিও বিক্রি
নিজস্ব সংবাদদাতা : মহিষাসুর মর্দিনীর আগমন এর আর বেশী দেরি নেই। আর মহালয়া মানেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের সেই অমোঘ গলার আওয়াজ। তাই দরকার রেডিও। বাঙালির কাছে দুর্গাপূজো মানে শুধুমাত্র একটা উৎসবই নয় সারা বছর ধরে চলতে থাকা দুঃসময়ের মাঝখানে যেন এক সুখের স্মৃতি। আর তার আগে মহালয়া ডেকে আনে সেই দিনের আওয়াজ। বাঙালির কাছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুধু মহালয় নয় ছোটবেলা সেই কাশফুলের স্মৃতিও ডেকে নিয়ে আসে। আর মহালয়া শুনতে গেলে দরকার রেডিওর। যেটা বাঙালির কাছে এখন সারা বছরের একদিনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও অন্যান্য জায়গার মতো শিলিগুড়িতেও এই আগস্ট সেপ্টেম্বর আসলেই রেডিও বিক্রি শুরু হয়। শিলিগুড়িতে রেডিও প্রচার সেভাবে না হলেও এই সময়টাতে মানুষ রেডিও কেনেন। শুনতে ভালোবাসেন ভোর চারটা থেকে শুরু হওয়া মহালয়াতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের আওয়াজ।
শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট হায়দার পাড়া এবং সুভাষপল্লীতে এখনো এই আধুনিক যুগেও প্রচুর রেডিওর দোকান আছে।। ভিডিও বিক্রেতারা জানিয়েছেন সারা বছর সেভাবে রেডিও চাহিদা না থাকলেও সময়টাতে প্রচুর মানুষ আসেন রেডিও কিনতে। এ থেকেই বোঝা যায় বাঙালি জীবনে এখনো রেডিও প্রয়োজনীয়তা আছে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে বিছানায় শুয়ে শুয়ে রেডিও সোনা বিশেষ করে মহালয়াতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা সোনা এক আলাদা প্রাপ্তি। মা দুর্গার আগমন এই সময়টাতে আমাদের বিষাদে ভরে যাওয়া মনকে অনেকখানি প্রশস্ত করে। তাইতো এখনো মহালয়ার জনপ্রিয়তা বাঙালি মননে এবং মানসে জড়িয়ে আছে। আয়েকার দিন আর এখনকার দিনের মধ্যে তফাৎ অনেক তবুও যেটুকু মিল আছে তার মধ্যে অন্যতম কিন্তু এই রেডিও। আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনবার জন্য ৮ থেকে ৯০ বছর বয়সী সব মানুষেরই উৎসাহ ছিল আছে এবং থাকবে। আজকের যুগে যখন মানুষ আর কিছুদিন পরে ইন্টারনেটকেও ভুলে যাবে তখন এই মহালয়ার জন্য রেডিও কেনা পুরনো স্মৃতিকে আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। তাইতো এই সময় রেডিও হয়তো টাকার থেকেও বেশি দামি।