এবার চরম গাফিলতি চিকিৎসকদের, রক্ত নিয়ে ১৪ জন শিশু আক্রান্ত হল হেপাটাইটিস-এইডসে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার চরম গাফিলতি চিকিৎসকদের। আর তাতেই মাশুল গুনতে হচ্ছে ডজন খানেক শিশুকে। রক্ত পরিশোধনের পরই হেপাটাইসিস-বি, হেপাটাইসিস-সি ও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হল কমপক্ষে ১৪টি শিশু। আক্রান্ত শিশুরা সকলেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, সেই কারণেই রক্ত বদল করাতে হয় নিয়মিত। কিন্তু হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই অসুরক্ষিতভাবে রক্ত বদলের কারণে হেপাটাইটিস, এইআইভির মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে।
জানা গিয়েছে, কানপুরের লালা লাজপত রাই সরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রক্তদানের সময় বিভিন্ন সংক্রামক রোগের পরীক্ষা করা হয়, তা নিয়ম মেনে করা হয়নি। এরফলেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা হেপাটাইটিস, এইচআইভির মতো রোগে সংক্রমিত হয়। তবে এখনও অবধি সংক্রমণের উৎস পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের প্রধান তথা নোডাল অফিসার ডঃ অরুণ আর্য বলেন, “এটি উদ্বেগজনক ঘটনা। রক্ত পরিবর্তনের সময়ে এই ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। আপাতত হেপাটাইটিস আক্রান্ত রোগীদের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এইআইভি আক্রান্তদের কানপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের নিয়েই বেশি উদ্বেগ। শিশুগুলি এমনিই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করছে। নতুন রোগে সংক্রমিত হওয়ায় তাদের বিপদ আরও বাড়ল। রক্ত ট্রান্সফিউশনের সময় চিকিৎসকদের উচিত শিশুদের হেপাটাইটিস বি-র টিকা দেওয়া। ”
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই হাসপাতালে নিয়মিত ১৮০ জন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রক্ত পরিবর্তন বা ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্য আসেন। প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের সমস্ত সংক্রামক রোগের জন্য পরীক্ষা করা হয়। এটিকে স্ক্রিনিং বলা হয়।
সম্প্রতিই আক্রান্ত ওই ১৪ জন শিশু স্থানীয় সদর ও বেসরকারি হাসপাতালে ব্লাড ট্রান্সফিউশন করে। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। আক্রান্তদের বয়স ৬ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ৭ জন হেপাটাইটিস-বি, ৫ জন হেপাটাইটিস-সি এবং ২ জন এইআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।