এবার চাই ১ লাখ টাকার ‘গ্যারান্টি কার্ড’, মহিলাদের বিরাট লাইন কংগ্রেস জিততেই

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল হয়েছে ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেসের। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে তাদের পারফরম্যান্স তো গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। মোদী-যোগীর ডাবল ইঞ্জিনের রাজ্যে, ৩৭টি আসন জিতেছে সমাজবাদী পার্টি। আর ৬টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি আটকে গিয়েছে ৩৩ আসনে। ফল প্রকাশের পর, উত্তর প্রদেশকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে, এই আশ্চর্যজনক ফলাফলের জেরে, অন্তত বুধবারের (৫ জুন) দিনটা বেশ অস্বস্তিতে কাটল উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের।

এদিন সকাল থেকেই লখনউয়ের মহিলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে লাইন লেগে যায় মহিলাদের। তাঁদের দাবি, ‘গ্যারান্টি কার্ড’চাই। ভোটের প্রচারের সময় এই গ্যারান্টি কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রচার পর্বে কংগ্রেস, দারিদ্র সীমার নীচে থাকা প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলা সদস্যকে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বেশ কয়েকটি পরিবারে এই নিয়ে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ও বিতরণ করা হয়েছিল।

কংগ্রেস দুর্দান্ত ফল করার পরদিনই তাই, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও লখনউয়ের মহিলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে দেখা গেল বিপুল সংখ্যক মহিলাদের ভিড়। যার মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল মুসলমান। কিছু মহিলা ‘গ্যারান্টি কার্ড’ দাবি করেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই সেই কার্ড পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাওয়ার জন্য ফর্ম জমা দেন। কিছু কিছু মহিলা এমনও দাবি করেছেন যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য বিশদ সহ তাঁদের ফর্ম জমা দিয়েছেন। কংগ্রেস কার্যালয় থেকে তাঁদের রসিদও দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে ‘ঘর ঘর গ্যারান্টি’ প্রকল্প চালু করেছিল কংগ্রেস। দলের নেতাদের প্রায় ৮ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে শুধু বাড়ি বাড়ি গেলেই হবে না, কংগ্রেস যে ২৫টি গ্যারান্টি দিয়েছিল, সেই সম্পর্কে পরিবারগুলিকে সচেতন করার দায়িত্বও ছিল তাঁদের উপর। এই গ্যারান্টিগুলিরই অন্যতম হল ‘মহালক্ষ্মী প্রকল্প’। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার যে ‘গৃহ লক্ষ্মী গ্যারান্টি প্রকল্প’ চালু করেছে, তারই অনুরূপ ছিল এই প্রকল্প। কর্নাটকে দরিদ্র পরিবারের একজন মহিলাকে ২,০০০ টাকা দেওয়া হয়। ‘মহালক্ষ্মী প্রকল্প’-এ দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা পরিবারগুলির একজন করে মহিলা সদস্যকে মাসে মাসে ৮,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *