এবার থেকে পর্যটকদের সাহায্য করবে কুনকি হাতি, কুনকিদের মন বুঝতে বিশেষ আগ্রহী বন দপ্তরও
নিজস্ব সংবাদদাতা : কুনকিদের মন বুঝতে চাইছে বন দপ্তর । কখনও পিঠে পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে ঘোরানো। আবার কখনও জঙ্গল পাহারা দিতে দিনরাত এক করে জঙ্গলে চলে টহলদারি। লোকালয়ে কোনও বন্যপ্রাণী বেরিয়ে এলে তাদের বাগে আনতেও ডাক পড়ে কুনকি হাতিদের । এতসব কাজে তাদের মনে কী প্রভাব পড়েছে, সেটা জানতে সমীক্ষা করল বন দপ্তর। এর জন্য আট সদস্যের একটা বিশেষ এক্সপার্ট কমিটিও গড়ে তোলা হয়েছে। এদিকে গরুমারায় এবং জলদাপাড়ায় এই সমীক্ষার দায়িত্বে ছিল সেই এক্সপার্ট কমিটি। দু’দিনের এই সমীক্ষার পর রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তারপরই দুই জায়গার কুনকি হাতিদের জীবনযাত্রায় প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে খবর বন দপ্তর সূত্রে।
এই এক্সপার্ট কমিটির চেয়ারম্যান উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি। তিনি বলেন, ‘সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুনকি হাতি নিয়ে কোনও জায়গায় কোনও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হলে কমিটির মাধ্যমে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ সমীক্ষায় কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া হয়? এই বোর্ডের সদস্যরা এই দুইদিন গরুমারা এবং জলদাপাড়ার কুনকি হাতিদের রোজনামচা খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি যে হাতিদের দিয়ে পর্যটকদের জঙ্গলে ঘোরানো হয়, তাদের সহ্যক্ষমতা, অতিরিক্ত পর্যটক তাদের পিঠে ওঠানো হচ্ছে কি না দেখা হয়েছে। পাশাপাশি কুনকিদের প্রতি মাহুতদের আচরণও খতিয়ে দেখেছে এই কমিটি। কথা বলেছেন মাহুতদের সঙ্গেও।
এই মুহূর্তে গরুমারায় ২৮টি এবং জলদাপাড়ায় আশিরও বেশি কুনকি হাতি রয়েছে। জঙ্গল রক্ষা থেকে শুরু করে পর্যটকদের জঙ্গলে সাফারি সহ একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে এই কুনকি হাতিরা। বিগত কয়েকবছরে দেখা গিয়েছে, কুনকিরাও মাঝেমধ্যে হিংস্র হয়ে উঠছে। বন দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকবছরে জলদাপাড়ায় দশজনেরও বেশি মাহুতের মৃত্যু হয়েছে কুনকি হাতির হামলায়। যেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।