এবার বঙ্গ CPIM এর এক বড় ‘পরিকল্পনা’ রাম মন্দিরকে সামনে রেখে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়েই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটা চেষ্টা চলছে। তার থেকে বাদ নাও পড়তে পারে এ রাজ্য। আশঙ্কা করছে বঙ্গ বাম। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট ও বজায় রাখার জন্য সজাগ থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে বামফ্রন্ট এর বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর তা নিয়ে জেলায় জেলায় সার্কুলার দেওয়া হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে।
তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা প্রচার চালাতে হবে মানুষকে সচেতন করতে হবে। মানুষকে সজাগ করতে হবে। সেই মর্মেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা বামফ্রন্ট এর নেতৃত্বকে। যে সব এলাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে, যে সব এলাকায় উগ্রতাকে ব্যবহার করতে চাইছে কোনও রাজনৈতিক দল, প্রচার কর্মসূচিতে সেই সব ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশে দিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একইসঙ্গে নেতাজি থেকে গান্ধীজি, স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের সব তাবড় তাবড় মুখেদের নিয়ে প্রচরাভিযানের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনেও রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি।
উল্লেখ্য , ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস পালন করতে চলেছে বামেরা। এরইমধ্যে আবার সামনেই ২৬ জানুয়ারি। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসেও নয়া কর্মসূচি নিয়ে বামেরা। মানুষকে সংবিধানের প্রস্তাবনা সম্পর্কে আরও নিবিড় বার্তা দেওয়ার দিন হিসাবে ২৬ জানুয়ারিকে বেছে নিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধে নিবেদন এবং তাঁকে স্মরণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বাম নেতৃত্বের তরফে। সামনেই লোকসভা ভোট। কয়েকদিন আগে ব্রিগেডে বড় সমাবেশ করে নিজেদের ঝাঁঝ বুঝিয়েছেন মীনাক্ষীরা। এরইমধ্যে এবার রাম মন্দিরকে সামনে রেখেই এবার বাংলার বাম নেতারা তাঁদের তৃণমূল স্তরের জনভিত্তিকে যাচাই করে নিতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।