এবার মেট্রোর ট্রায়াল রান আটকে গেল গঙ্গার নিচের সুড়ঙ্গের মধ্যে
হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে মহাকরণ ছুঁয়ে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের এই লাভজনক রুট দ্রুত চালু করতে আগ্রহী রেল। কিন্তু এখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই বউবাজার সমস্যা। কারণ বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের ওপরে বউবাজারের ৯ মিটার অংশে মেট্রোর সুড়ঙ্গর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন না হওয়া অবধি ট্রেন চালানো যাচ্ছে না বাকি অংশে? আসলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কারশেড হল সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। সমস্ত রেক সেখানেই রাখা হয়েছে।আগামী দিনেও যা রেক আসবে সেখানেই থাকবে। আর এখান থেকেই রেককে শিয়ালদহ হয়ে বউবাজার পেরিয়ে এসপ্ল্যানেড অবধি আসতে হবে। বউবাজারে কাজ শেষ না হওয়া অবধি রেক চালানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না KMRCL কর্তৃপক্ষ চারটি স্টেশন সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। বাকি যা আছে তা অত্যন্ত দ্রুত সারা হচ্ছে। চলছে সিগন্যালিং সিস্টেম ইন্সটলেশনের কাজ। হাওড়া ময়দান বা এসপ্ল্যানেড অংশে মাটির ওপর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিষ সুড়ঙ্গে পাঠানোর জন্য দুটো বক্স করা আছে। সেই বক্স বা শ্যাফটের মুখের আয়তন ১৫ মিটার। সেখান দিয়ে মেট্রোর আলাদা আলাদা কোচ নামিয়ে তা জুড়ে রেক বানানো সম্ভব নয়। কারণ ২২ মিটারের কোচ, এই ১৫ মিটার দিয়ে নামানো সম্ভব নয়। আবার রেক লরিতে চাপিয়ে সেন্ট্রাল পার্ক থেকে হাওড়া ময়দান নিয়ে আসাও কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় লাভজনক অংশে ট্রায়াল রান শুরু করতে পারা যাচ্ছে না। KMRCL এর এমডি এন সি কারমালি জানিয়েছেন, “রেক যদি হাওড়া ময়দান অবধি নিয়ে আসতে পারতাম তাহলে ছয় মাসের মধ্যে এই অংশে মেট্রো চালিয়ে দিতে পারতাম। বউবাজার সম্পন্ন না হওয়া অবধি সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো কারশেড থেকে আমরা রেক আনতেও পারছি না। তাই এই অংশে পরিষেবা চালু হতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।”