এ যেন জলদস্যুদের ‘যম’! ভারতীয় নৌসেনা ২৩ পাকিস্তানিকে প্রাণে বাঁচাল সোমালি বোম্বেটেদের কবজা থেকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরব সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত বন্ধ করতে ফের একবার বড় পদক্ষেপ ভারতীয় নৌসেনার। ইরানের এক মাছ ধরার জাহাজকে আরব সাগরের বুকে ঘিরে ধরেছিল সোমালি জলদস্যুরা। একেবারে হাইজ্যাক করে নিয়েছিল জাহাজটিকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বৃহস্পতিবার। সমুদ্র তখন অন্ধকার। সন্ধে নেমে এসেছিল। সেই সময়েই ইয়েমেনের সকোত্রা দ্বীপের থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে আরব সাগরের বুকে ইরানের আল কাম্বার ৭৮৬ জাহাজটিকে নিজেদের কবজায় নিয়ে ফেলে জলদস্যুরা। ইরানের ওই মাছ ধরার জাহাজ যে বিপদে পড়েছে, সে খবর পৌঁছে গিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনার কাছেও। সঙ্গে সঙ্গে নৌসেনার দুটি জাহাজকে পাঠানো হয় সমুদ্রের ওই অঞ্চলে। টার্গেট হাইজ্যাক হয়ে যাওয়া জাহাজটিকে উদ্ধার করা।
বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়ার পর, শুক্রবারই সেখানে পৌঁছে যায় নৌসেনার দুটি জাহাজ। প্রথমে পৌঁছায় আইএনএস সুমেধা। তার পরপরই সেখানে পৌঁছে যায় আইএনএস ত্রিশূল। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে ভারতীয় নৌ সেনার এই উদ্ধার অভিযান। শেষে হার মানতে বাধ্য হয় সোমালি জলদস্যুরা। আত্মসমর্পণ করে তারা। ভারতীয় নৌসেনার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে প্রায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অভিযান শেষে ইরানের জাহাজ কবজা করে নেওয়া জলদস্যুদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। নৌ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই মাছ ধরার জাহাজটিতে ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিক কর্মী হিসেবে ছিলেন। তাঁদের সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই জাহাজটিকেও পরীক্ষা করে দেখছেন নৌসেনার একটি বিশেষজ্ঞ দল। এরপর সেটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের উৎপাত এই প্রথম নয়, সাম্প্রতিককালে বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর আগেও ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজ অপহরণ করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। সেই বারও এই অপহৃত জাহাজ ও সেখান থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের উদ্ধার করেছিল নৌ সেনা। আর এবার আরব সাগরের বুকে ফের এক বড় সাফল্য পেল ভারতীয় নৌসেনা।