কংগ্রেসের ‘মাস্টারপ্ল্যান’ রেডিই ছিল তেলেঙ্গনার মানুষের মন জানতে ! অবশেষে কেল্লা ফতে হল কোন ম্যাজিকে ? জেনে নিন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০১৪ সালে তেলেঙ্গনা তৈরির পর এই প্রথম দক্ষিণী রাজ্যে জয়ের পথে কংগ্রেস। এগজিট পোলগুলিতে আভাস মিলেছিল, তবে এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই কেসিআর-এর রাজ্যে জয়ের মঞ্চ গড়তে শুরু করে দেয় হাত শিবির। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশের পড়শি রাজ্য তেলেঙ্গনায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাও ভালোরকম সাড়া পেয়েছিল।
তেলেঙ্গনায় জয়ের পথে কংগ্রেস। গতকাল ৪ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীশগড়ে ভরাডুবি হলেও একমাত্র দক্ষিণের এই রাজ্যেই সাফল্যের মুখ দেখছে হাত শিবির। বেলা আড়াইটে পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১৯ আসনের তেলেঙ্গনা বিধানসভায় কংগ্রেস এগিয়ে ছিল ৬৩টি আসনে। ক্ষমতাসীন কেসিআর-এর দল এগিয়ে থাকে ৪১টি আসনে।
তেলেঙ্গনায় এবছরের শুরু থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা রাজ্যে কংগ্রেসকে অঙ্গীকারবদ্ধ করতে সাহায্য করেছিল। বিপুল সাড়া মিলেছিল সেই কর্মসূচিতে। যা দেখে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও ভালোরম উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছিলেন প্রদেশ নেতৃত্বকে। মোটের উপর গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকেই তেলেঙ্গনায় কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল।
যদিও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনেক আগেই ঘোষণা করেছিল যে তেলেঙ্গানায় আপাতদৃষ্টিতে অদম্য ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। তেলেঙ্গনায় কার্যত হাত দেখিয়ে কেসিআর-দের গাড়ি থামিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি। এমনকী নির্বাচনের দৌড়েও হাইভোল্টেজ প্রার্থী তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে পিছনে ফেলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
কর্নাটক জয়ের প্রভাব তেলেঙ্গনায়? তেলেঙ্গনায় কংগ্রেসের এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে কর্নাটকের প্রভাবও। কর্ণাটকের ফলের পুনরাবৃত্তি যে তেলেঙ্গানাতেও হতে পারে তার একটা বিশ্বাস রাজ্যবাসীকে দিতে পেরেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি (কংগ্রেসের ভাষায় “গ্যারান্টি”) চালু করে দেয়।
এটি তেলেঙ্গানার ভোটারদের উৎসাহিত করেছিল। ক্ষমতায় এলে তেলেঙ্গনাতেও কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প বাস্তাবায়নে সদর্থক ভূমিকা নেবে তার একটা বিশ্বাস জন্মেছিল ভোটারদের মধ্যে। এই ভাবনা অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ক্ষমতাসীন কেসিআর-এর দলকে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।