কংগ্রেস যেন মিশে আছে তার রক্তে! অবাক হতেই হয় ধনুকভাঙা পণে এই বৃদ্ধের তাজ্জব কাণ্ড জানলে পরে !
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নিতে রাজ্যে-রাজ্যে চষে ফেলার সংকল্প নিয়েছেন এই বৃদ্ধ। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলেই তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা পৌঁছবে মালদায় । রাহুলের স্বপ্নের এই জনসংযোগ যাত্রায় সামিল থাকবেন এই বৃদ্ধও।
সাইকেলেই মালদায় এসে পৌঁছেছেন ৭৩ বছর বয়সী প্রভাত দাস। আদতে এই ব্যক্তি পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা। কালনার প্রত্যন্ত গ্রাম সিমলনে বাড়ি তাঁর। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন। প্রভাতবাবুদের আদ্যোপান্ত কংগ্রেসি পরিবার। কংগ্রেসের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তাঁর এই সাইকেল-যাত্রা। পূর্ব বর্ধমান থেকে সাইকেল নিয়ে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নিতে রাজ্যে-রাজ্যে ঘোরার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
এরাজ্য থেকে প্রথমে তিনি মণিপুরে গিয়েছিলেন সাইকেল চালিয়ে। তবে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ঢোকার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকায় তিনি সেখানে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। সাইকেলেই ফের বাংলায় ফেরেন তিনি। এবার মালদা দিয়ে যাবে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। মূলত সেখানেই অংশ নেবেন তিনি।
প্রভাস দাসের কথায়, “গত ২২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করেছি। ক্রমাগত সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি। ডিমাপুরে গিয়ে একদিন অপেক্ষাও করেছি। ওখানে কিছু বিধি-নিষেধ থাকায় মণিপুরের ন্যায়যাত্রায় সামিল হতে পারিনি। বাইরের লোকেদের ওখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছি। আমার ইচ্ছে রয়েছে এমনকি মুম্বই যাওয়ার। কিন্তু এখন যে যাত্রা চলছে আমি তাতে তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছি না। ওঁরা বাসে যাত্রা করছেন।” কংগ্রেসের রাজনীতিই বৃদ্ধ প্রভাস দাসের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস না হলে দেশ চলবে না।”
বৃদ্ধের দীর্ঘ এই যাত্রাপথে বেশ কিছু জায়গায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। এভাবে অভ্যর্থনা পেয়ে বৃদ্ধ বেশ খুশি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের পতাকাকে যেভাবে সম্মান দিয়েছেন মানুষজন, তাতে আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে কংগ্রেস তাঁদের মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অধীর চৌধুরী আমাদের ঠিক পথ দেখাচ্ছেন। আজ মালদায় এসেছি। কাল সুজাপুর যাব। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দেব।”