‘ড্রাগ নিতে বলত, শারীরিক নির্যাতন চালাত’ না নিলে পরে , চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো যাদবপুরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দৃষ্টিহীন বিশেষ ভাবে সক্ষম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মালবাজারের ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতেন। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর বাড়ি থেকেই ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র ও এক গবেষক (তাঁরাও দৃষ্টিহীন) ছাত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। আর তার জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রী। পরিবারের বক্তব্য, থানায় অভিযোগ জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবারের ।

মালবাজার পৌরসভার বাসিন্দা ছিলেন ওই ছাত্রী। এমনকি তার পরিবারে বাবা, মা ও ভাই রয়েছেন। বাবা শিলিগুড়িতে এক কোম্পানিতে কর্মরত। পরিবারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হত। মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ১৬ জানুয়ারি পরীক্ষা দিয়ে মালবাজার ফিরে আসেন, তারপর মামা বাড়িতে উঠেন।

১৮ই জানুয়ারি মামাবাড়ির বারান্দার গিড়িলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ছাত্রী।এ বিষয়ে মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় মৃত ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে সেভাবে তদন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। এদিকে পরিবারের দাবি পুলিশের তরফ থেকে শুধু বলা হয়েছে, ‘ডাকা হবে, জবানবন্দি নেওয়া হবে।’ কিন্তু কোনটি এখনও পর্যন্ত করেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *