করোনাতঙ্ক উধাও ভোটের প্রচারে, ব্রিগেড ভরালে প্রাণটা থাকবে তো? উঠল প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দেশে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হল প্রায় ১৭ হাজার। এই একদিনে করোনার বলি হয়েছে ১১৩। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রই সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরেই রয়েছে কেরালা। এদের তুলনায় বাংলার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলেও আমরা নেই খুব একটা স্বস্তিকর অবস্থায়। এমনকি এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ -র উপরেই। একটা কথা স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য যথেষ্ট এই পরিসংখ্যানগুলি, করোনাভাইরাস বোঝাচ্ছে, ”দেখো আমি বাড়ছি”। ”আমি হারিয়ে যাইনি।”
যানচলাচল পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে বড়দের স্কুল। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি কোনো ভাবেই।বারবার কোভিড নিয়ম মেনে চলার কথাও বলা হচ্ছে এমনকি প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও নতুন করে জারি হচ্ছে বিধিনিষেধ। আবার কড়াকড়ির নির্দেশ এসেছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থানগুলিতে। মাস্ক পরুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন – গালভরা পরামর্শও ফের মিলছে। অথচ আশ্বর্যের বিষয়, প্রশাসনের সেই কর্তাব্যক্তিরাই ভোটের প্রচারে যখন নামছেন, তখন যেন কীভাবে নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে করোনাতঙ্ক। তখন সবাই বেপরোয়া, বেলাগাম। কোভিড ভুলে তখন সকলের ব্যস্ততা তুঙ্গে ভোটের ফায়দা লুটতে।
মূলত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে। রাস্তাঘাটে যেমন প্রচারের ঢল। তেমনি অপরদিকে সমাবেশের পর সমাবেশ । মঞ্চে নেতানেত্রীরা। আর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা মাঠবোঝাই জনতা । কোন দল কত লোক আনতে পারে ? কার জমায়েত কতটা ভরছে ? কোন জমায়েতে শুধুই মাথার পর মাথা ? নিক্তি দিয়ে মেপে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ । খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমনকি বিভিন্ন দলের জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু করোনা সেখানে কোথায় ? অতিমারীর থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন ক্ষমতা দখলের লড়াই।