‘কলকাতার কিডনি’তে ভেঙে ফেলা হোক বেআইনি নির্মাণ, মুখ্যমন্ত্রীকে সবুজমঞ্চের চিঠি এক গুচ্ছ দাবিতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ক্রমশ দখল হচ্ছে নদী। পূর্ব কলকাতার জলাভূমিরও এমনকি একই অবস্থা । যাকে মূলত বলা হয় কলকাতার কিডনি। পরিবেশকর্মীদের সংগঠন সবুজ মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল নদী, সমুদ্র, জঙ্গল—পরিবেশ সংক্রান্ত একগুচ্ছ দাবি নিয়ে তার হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে। সবুজ মঞ্চর সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে চিঠিতে যা যা লিখেছে তা বেশ ভয়াবহ। তাঁর আরও বক্তব্য, এই সমস্যার সমাধান করা কখনো সম্ভব নয় সরকারের একাধিক দফতরের সুষ্ঠু সমন্বয় ছাড়া। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি লিখেছেন সেই কারণেই । চিঠিতে স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে, নদীর উপর দখলদারি চলছে এ রাজ্যে। সবুজ মঞ্চর আরও বক্তব্য, নদীর উপর নির্ভরশীল বাংলার প্রায় এক কোটি মানুষের জীবনজীবিকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে চরম শোচনীয় নদীগুলির অবস্থা। এমনকি নদীগুলির গতিপথকে রুদ্ধ করছে বেআইনি ভাবে বালি তৈলা, ইটভাটা নির্মাণ, পৌরসভা অ কোভিডের আবর্জনা নিক্ষেপ।যার পরিণতি চরম ভয়াবহ।
এদিকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের কথা উল্লেখ করে সবুজ মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেছে, ২০১৯ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত দূষণমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের প্রায় সাড়ে তিনশ নদীর বিভিন্ন অংশকে। তাঁর মধ্যে রয়েছে বাংলার ১৭টি নদী।
পূর্ব কলকাতার জলাভূমি প্রসঙ্গে সবুজ মঞ্চ লিখেছে, কলকাতার কিডনি বলা হয় এই জলাভূমিকে। প্রাকৃতিক উপায়ে যেখানে শোধনের ব্যবস্থা চালু ছিল কলকাতা শহর থেকে আসা অপরিস্রুত জলের। যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত সবিজি ও মাছ চাষের ক্ষেত্রে। কিন্তু ক্রমেই বেড়ে চলেছে বেআইনি নির্মাণ কাজ।সবুজ মঞ্চের দাবি প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেও। তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এও দাবি জানিয়েছে, কলকাত্যার কিডনিতে ভেঙে ফেলা হোক বেআইনি নির্মাণ। এমনকি সবুজ মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মন্দারমণি, তাজপুর, গোসাবা -সহ বিভিন্ন জায়গায় সমুদ্র তটের উপরে হোটেল নির্মাণ নিয়েও। সমুদ্র তটের বালি তোলা, গাছ কেটে ফেলা, গাড়ি চালানো—ইত্যাদি নিয়েও পরিবেশকর্মীদের মঞ্চ অভিযোগ জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।