কাজের তোপ দিয়ে কিশোরীকে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ, দাবি উঠল এমনকি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বছর বাইশের এক যুবক সাদ্দাম গাজী কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে নিয়ে গিয়েছিল ১৪ বছরের সপ্তম শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে। পরিবারসূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত এই যুবক সম্পর্কে কিশোরীর কাকা হয় বলেও। ওই দূরসম্পর্কীত কাকা সেখানে নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার পরিবর্তে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণও করে। ৩রা জুন কিশোরীর পরিবার এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানিয়েছিল বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে।পুলিশকে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক যুক্ত ছিল ভাটির ঠিকাদারির কাজের সঙ্গে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ অন্যরাজ্যে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবক ওই কিশোরীকে নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয়।
কাজ দেওয়া তো দূরের কথা, অন্ধ্রপ্রদেশে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবক ওই নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে৷ জানা গেছে ধর্ষণের পাশাপাশি মেয়েটিকে রীতিমতো ভয় দেখানোও হয়েছিল বলেও। ধর্ষণের কথা যাতে কোনওভাবেই বসিরহাটের বাড়িতে জানাজানি না হয়, সাদ্দাম তার জন্য নিয়মিত তাকে শাসাত এবং ভয়ও দেখাত । ১৪ বছরের ওই ছাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়় এমনকি প্রতিদিনের অত্যাচারে ও শাসানিতে । তার উপর কিশোরীটি বাড়ি ফেরারও কোনো সুযোগ পাচ্ছিল না লকডাউনের জেরে অন্য রাজ্যে আটকে পড়ায়। তবে একাধিকবার বাড়িতে ফোন করে সে সমস্ত কথা জানানোর চেষ্টা করে।
আগস্ট মাসের ১ তারিখ লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে ওই নির্যাতিতা ফিরে আসে পাইকপাড়ার নিজের বাড়িতে। তারপরই ওই নাবালিকা ছাত্রী মনস্থির করে পুরো বিষয়টা গ্রামের মানুষকে জানিয়ে দেবে বলে। একমাসের বেশি সময় ধরে চুপ থাকার পর ৩রা সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাবালিকা তার বাবা মা’কে সঙ্গে করে সোজা বসিরহাট থানায় গিয়ে নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ করে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় এলাকাবাসী প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েছে । এদিকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবকও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,তদন্তে এগোনো হবে সবদিক দেখেশুনে। নির্যাতিতা নাবালিকা ও তার পরিবারের হয়ে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি কাদের সরদার।