কালীঘাটের কাকুর আড়াই কোটির ফ্ল্যাট ‘উপহার’ মেয়ে-জামাইকে , চমকে দেওয়া তথ্য এমনকি মানিক-পার্থ-কুন্তল যোগেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু । কাকুর গ্রেফতারি ইস্তক একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে। চার্জশিটেও তার উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরইমধ্যে ‘কাকু-কাহিনী’তে নতুন মোড়। সূত্রের খবর, কলকাতার লি রোডে মেয়ে জামাইকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। শুধু তাই নয়, কাকুর একাধিক ব্যাঙ্ক লেনদেনও তদন্তকারীদের হাতে। ইডির তদন্তে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, এসডি কনসালট্যান্ট নামে যে সংস্থায় কালীঘাটের কাকুর অংশীদারি রয়েছে, সেই সংস্থা থেকে ৯৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থাকে। শুধু তাই নয়। সূত্র বলছে, কাকুর আরও এক বেনামি সংস্থায় ২০১৮ সাল থেকে নগদে জমা হয়েছে ৯৮ লক্ষ টাকার বেশি অঙ্ক।
ইডি সূত্রে খবর, কাকু-কুন্তলের যোগ যথেষ্ট গাঢ়। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই কুন্তল ঘোষকে ৩২৫ জনের চাকরি করে দেওয়ার কথা দেন কালীঘাটের কাকু। এই ৩২৫ জন যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী। এই চাকরি দেওয়ার জন্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। পার্থকে ১০ লক্ষ টাকাও দেন বলে দাবি সূত্রের। সবদিক খতিয়ে দেখছে ইডি। এই ৩২৫ জনের অ্যাডমিট কার্ড, প্রয়োজনীয় নথি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছিল বলে খবর। হোয়াটসঅ্যাপ করে তা পাঠানো হয়েছিল বলেও সূত্রের দাবি।
আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি কালীঘাটের কাকু। তাঁর বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা। এই সার্জারি কোনও বেসরকারি হাসপাতালে করাতে চান কাকু। আদালতেরও দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও ইডি তাতে সম্মত নয়। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিও আছে হাইকোর্টে। তবে এরইমধ্যে কাকুর নয়া ‘কীর্তি’ উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।