কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বড় কথা শোনাল বার্ড ফ্লু নিয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গত কয়েকদিন ধরে বার্ড ফ্লু নিয়ে উদ্বেগের পরিস্থিতি ছড়িয়েছে একাধিক রাজ্যে। এতদিন বার্ড ফ্লু শুধু পাখির শরীরেই হতো বলে শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি গরুর দুধেও বার্ড ফ্লু-এর ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। আর তার পর থেকেই চিন্তা বাড়ে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রথম থেকেই বিষয়টি কড়া নজরদারিতে রেখেছে। মরসুমি যতরকমের ফ্লু রয়েছে, সবদিকেই নজর রয়েছে তাদের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা ‘মনিটরিং’ চালাচ্ছে। এখনও অবধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে H1N1 অর্থাৎ সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঋতু পরিবর্তন কিংবা অতিরিক্ত গরম-ঠান্ডায় নানা ফ্লুয়ে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আর কোভিডের পর থেকে খুব বেশি করে একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে, কোমর্বিডিটি। যাদের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের বিশেষ করে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে এই সিজেনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায়।
১৯৯৬ সালে প্রথম বার্ড ফ্লু বা এইচ৫এন১ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। বার্ড ফ্লুয়ের ভয়ে মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকে। হাঁস-মুরগির ডিম খাওয়াও বন্ধ করে দেন অনেকে। এ বছরের মার্চ মাসে আমেরিকায় গরু ও ছাগলের দেহেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। এরপর নতুন করে চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ভারতেও বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে একটি পোলট্রি ফার্মের কাজে যুক্ত থাকা ৮ জনকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। কেরলের আলাপ্পুজাহতেও এই ভাইরাসের দেখা মেলে। দ্য হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা H5N1 ভাইরাস প্রাথমিকভাবে পাখির শরীরে থাবা বসালেও মানবদেহেও তা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘ক্লোজ কনটাক্ট’ বা সংস্পর্শে আসার বিষয়টি উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষে H5N1 ভাইরাস ছড়িয়েছে, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। পাস্তুরাইজড দুধই খেতে বলেছে তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরও পরামর্শ, দুধ ভালভাবে ফুটিয়ে খান। মাংসও যথাযথভাবে রান্না করে খান। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সিজেনাল ইনফ্লুয়েজ্ঞার পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে।