কোলাহল মুক্ত নিরিবিলি পরিবেশ, মনের স্বস্তি, প্রাণের সুখ মেলে শান্ত-স্নিগ্ধ পাহাড়ি এই গ্রামে!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিন কয়েকের আরাম নিন ব্যস্ত জীবন থেকে বাইরে এসে । ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে দিন কয়েক কাটিয়ে আসুন শান্ত-স্নিগ্ধ, কোলাহলহীন মুক্ত পরিবেশে। পাইন, ওঁকের প্রাচীরে ঘেরা সুন্দর পাহাড়ি গ্রামে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত দারুণ উপভোগ্য। ষোলোআনা মজা নিন ছবির মতো সাজানো দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ি উপত্যকায় বেড়ানোর। ইঁদুর দৌড়ের জীবন থেকে দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন বাংলারই অপূর্ব এই প্রান্ত থেকে। প্রকৃতি যেন নিজের হাতে সাজিয়েছে হিমালয় কোলের ছোট্ট এই জনপদকে ।
মূলত ,ছবির মতো সাজানো পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। ছোট্ট এই জনপদ কালিম্পং জেলার অন্তর্গত। রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের পাহাড়ি গ্রাম এই চারখোল। এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফুট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে । গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে পাইন, ওঁক, গুরাস, সাইপ্রাস গাছের সারি। দূর থেকে এখানে দেখা মিলবে বরফে ঢাকা সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার। এই গ্রামের চারিদিক খোলা, তাই বোধ হয় এর নাম চারখোল। এই এলাকাটি ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের একেবারে কাছে। সেই কারণে এখানকার মূল আকর্ষণ হিমালয়ান পাখি।
গোটা এলাকা সবুজে সবুজ। এক অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে মায়াবী পরিবেশে আপনার বেড়ানোর প্রতিটি মুহূর্ত । গ্রাম জুড়ে রয়েছে নাম না জানা রঙবেরঙের পাহাড়ি ফুল। ইচ্ছে থাকলে হেঁটেই ঘূরে নিন গোটা গ্রামটা। চারখোল একেবারে পারফেক্ট চয়েজ স্ট্রেসফুল জীবন থেকে দিন কয়েকের আরাম নিতে গেলে। কোলাহল মুক্ত পরিবেশে এযেন এক স্বর্গসুখ।
চারখোলে কী কী দেখবেন? অনেকে হোম স্টে-র বারান্দায় বসেই এখানাকার অপূর্ব পরিবেশের স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন । তবে চারখোলকে কেন্দ্র করে আপনি ঘুরে নিতে পারেন আরও বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক স্পট। গাড়ি ভাড়া করে বেড়িয়ে আসতে পারেন লাভা, লোলেগাঁও, কোলাখাম, রিশপ, পেডংয়ের মতো জায়গা থেকে।
কীভাবে যাবেন চারখোলে? নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে চারখোলের দূরত্ব মেরেকেটে ৮০ কিলোমিটারের মতো। এর দূরত্ব প্রায় ৩৮ কিলোমিটার কালিম্পং শহর থেকে। থাকার জন্য এখানে পেয়ে যাবেন বেশ কয়েকটি সুদৃশ্য হোম স্টে। এখানে আছে কয়েকটি রিসর্টও। হোম স্টে-গুলিতে খরচ নেওয়া হয় থাকা-খাওয়া হিসেবে । এক্ষেত্রে জন প্রতি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে।