কোচবিহারের রাসমেলাতে এবার থাকবে না বাংলাদেশের কোনও ষ্টল

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

কোচবিহার : কোচবিহারের রাস মেলাতে এবার আসছে না বাংলাদেশের কোনও স্টল। তার পরিবর্তে সেখানে বসবে কলকাতার কয়েকজন ব্যবসায়ীর শাড়ির স্টল। এমনকি যেখানে পাওয়া যাবে ‘ইন্ডিয়ান সিল্ক’ । প্রতিবছর রাসমেলায় বাংলাদেশের প্রায় ৪০টি দোকান বসে। পদ্মার ইলিশ, ঢাকাই জামদানি, গুড় সহ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা নানা সামগ্রী বিক্রি করেন। মূলত বাংলাদেশে ভারতবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের প্রতিবাদে গতবছরও রাসমেলার সেই স্টলগুলিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা ঘটেছিল। এবছর বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও বেশি অস্থির। ফলে এবারের মেলায় তাঁদের দেখা নেই। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, ‘বাংলাদেশের কোনও স্টল এবার মেলায় আসছে না। সেখানে অন্য দোকানপাট বসবে।’

কোচবিহারের রাসমেলায় বরাবরই দেশ-বিদেশ থেকে দোকানপাট আসে। প্রায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ী তাঁদের পসরা সাজিয়ে বসেন। কোটি-কোটি টাকার ব্যবসা হয়। সেখানে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এলেও এবার তাঁদের দেখা মিলবে না। কলকাতা বইমেলাতেও বাংলাদেশি স্টল বসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সমস্যা দেখা গেল কোচবিহারের রাসমেলাতেও। অবশ্য রাসমেলায় বাংলাদেশি স্টল না আসার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এদিকে কলেজ পড়ুয়া রাজু দাস বলেন, ‘কয়েকদিন আগে যখন বাংলাদেশে অস্থির অবস্থা ছিল তখন সেখানে ভারতবিরোধী অনেক কথা হয়েছে। তাই আমরা কখনোই চাই না ওই দেশের কেউ এখানে এসে ব্যবসা করুক।’ কোচবিহারের আরেক বাসিন্দা মৃন্ময় চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমরা কেন রাসমেলায় বাংলাদেশি পণ্য কিনব? তাঁদের এখানে আসার আর কোনো রকম প্রয়োজন নেই।’

জানা গেছে রাসমেলায় বন দপ্তরের তরফে স্টল দেওয়া হবে। যেখানে সুন্দরবনের খাঁটি মধু ও খেজুর গুড় পাওয়া যাবে। বন দপ্তরের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই স্টল চেয়ে পুরসভার কাছে আবেদন করেছি। ক্রেতারা খাঁটি মধু, গুড় কিনতে পারবেন।’ এদিকে, রাসমেলায় ব্যবসায়ীদের স্টলের পাশাপাশি সরকারি নানারকম স্টলও বসবে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *