কোনও ত্রাণ নয়, চাই চিরস্থায়ী সমুদ্র বাঁধ ; চাঁদপুরবাসী জানাল কাতর আর্জি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : “আমাদের কোনও ত্রাণ চাই না , পারলে তৈরি করে দিন চিরস্থায়ী সমুদ্র বাঁধ৷” পূর্ব মেদিনীপুরের চাঁদপুর ও ট্যাংরামারির বাসিন্দারা এইভাবেই কাতর আর্জি জানান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে৷তবে তাঁদের কাছে নতুন কিছু নয় বর্ষায় নদীবাঁধে ফাটল ধরে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যাওয়া ও ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নেওয়ার ঘটনা৷ তার উপর উপরি পাওনা প্রায় প্রতিবছরই একটা করে ঘূর্ণিঝড় এর তান্ডব৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করতে আসেন ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা৷ সেইসময়ই বাসিন্দারা তাঁদের কাছে এমনভাবেই স্থায়ী বাঁধের অনুরোধ জানান৷
গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব এস কে শাহির নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ দিঘা হেলিপ্যাডে নামেন । প্রথমে তাঁরা একটি বৈঠক করেন দিঘা- শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে। জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক চলে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে৷ এই উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি জেলাশাসক সুদীপ্ত পোড়েল, কাঁথি মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম হিরানি , রামনগর ১ও ২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র সহ সরকারি বহু আধিকারিক বৃন্দ।
প্রতিনিধি দলের একটি দল মন্দারমণির দাদানপাত্রবাড়ে যান বৈঠক শেষে৷ আর শংকরপুর , চাঁদপুর, ট্যাংরামারি গ্রাম পরিদর্শন করতে যান চার সদস্যের দল৷ কথা বলেন গ্রামবাসীর সঙ্গে৷ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেন তাঁদের কাছ থেকে৷ পাশাপাশি আমফানের সময় তাঁদের যে ক্ষতিপূরণ পাওনা ছিল , তা তাঁরা পেয়েছেন কি না বিস্তরে জিজ্ঞাসা করেন সেবিষয়েও৷ গ্রামের বাসিন্দারা সেইসময় জানান, তাঁদের থাকার ঘর নেই৷ এখনও জলমগ্ন অনেক গ্রাম৷ দিন কাটাতে হচ্ছে ত্রাণ শিবিরেই৷ এই অবস্থা থেকে তাদের একমাত্র বাঁচার উপায় যদি তাঁদের জন্য তৈরি করে দেওয়া যায় স্থায়ী সমুদ্র বাঁধ৷