কোন তেল ব্যবহার করছেন আপনার রান্নায় জানেনতো স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
ভারতীয় রান্নার একটা অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল তেল । তেল বেশি ঝাল মশলা এবং তেল (Oil) দিয়ে রান্না না করলে অনেকের মুখের রোচে না সেই খাবার। যদিও এর প্রভাব শরীরের উপর যথেষ্ট পড়ে। চিকিৎসকরা বহু রোগীকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন অতিরিক্ত তেল না খাওয়ার জন্য। কিন্তু চিকিৎসকের সেই নিষেধাজ্ঞা কজন শোনেন, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অতিরিক্ত তেল না সেবন করার নেপথ্যে যে কারণ রয়েছে তা হল কোলেস্টেরল (Cholesterol)। আসলে যে তেলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট অতিরিক্ত মাত্রায় থাকে সেই তেল নিয়মিত সেবন করলে তাঁর রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
সরষের তেল (Mustard Oil): মূলত সরষের বীজকে পিষে তার নির্যাস থেকে গাঢ় হলুদ রঙের এই সর্ষের তেলটি তৈরি করা হয়। তার একটি ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। এই সরষের তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফাটি অ্যাসিড। এইগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ভালো। সর্ষের তেলে উপস্থিতি রয়েছে ভিটামিন ই এর। এটি ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। আর সর্ষের তেল থেকে যে উষ্ণতা তৈরি হয় তার সর্দি কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
উদ্ভিজ্জ তেল (vegetable oil): এই তেল গুলি পরিশোধিত হয় না। কারণ বিভিন্ন ধরনের ফল, বাদাম, বীজ থেকে এই তেল বের করা হয়। আর প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তারপর এটিকে ভোজ্য তেলে পরিণত করা হয়। তাই যে উদ্ভিজ্জ তেলই আপনি ব্যবহার করুন না কেন তাতে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে।
নারকেল তেল ও অলিভ তেল: নারকেল তেলের (Coconut Oil) মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ফ্যাট হ্রাস করতে পারে। সেটি হল মিডিয়ান চেইন ট্রাই গ্লিসারাইড। অন্যদিকে অলিভ অয়েলের মধ্যে মনোস্যাচুয়েটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে কিছুটা বেশি পরিমাণে। এই কারণে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অলিভ অয়েল (Olive Oil) থেকে পাওয়া যায় ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটা কিন্তু হৃদরোগের সমস্যা বাড়াতে পারে। নারকেল তেলেও শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।