কোপ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধে, এসইউসিআই রাজ্য সম্পাদকের চিঠি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির একাংশের ক্ষেত্রে৷ এদিকে এসইউসিআই-ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালগুলিতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধের সংখ্যা কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করেছে৷ এসইউসিআই এনিয়ে সরব হয়েছে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই৷
এসইউসিআই নেতৃত্বের আরও বক্তব্য, রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষই অক্ষম ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য পরিষেবা বহন করতে ৷ প্রান্তিক, নিম্নবিত্তরা একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর নির্ভর করেন জ্বর-জ্বালা থেকে কঠিন ব্যধি, সবকিছু থেকেই মুক্তি পেতে৷ এই প্রেক্ষাপটে এই দরিদ্র মানুষগুলোই চরম বিপদে পড়বে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের ক্রমশ তালিকা ছোট করা হলে৷
সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার ৷ তাতে বলা হয়েছে, প্রায় অর্ধেক করা হচ্ছে মহকুমা ও রাজ্য সাধারণ হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সংখ্যা৷ এতদিন অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় সরকার ৬৪৪ রকমের ওষুধ সরবরাহ করত এই হাসপাতালগুলিকে৷ নির্দেশ মতো, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ ধরনের ওষুধে ৷ এর ফলে ক্যানসারের মতো ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসার উপরও কোপ পড়েছে৷ এর পাশাপাশি, কাটছাঁট করা হয়েছে ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়ার মতো অসুখের ওষুধেও৷ অথচ এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে রোগীকে ওষুধ খেতে হয় নিয়মিত ভাবেই৷ওষুধ কখনই বন্ধ করা যায় না ৷
এই সমস্যার কথা উল্লেখ করেই এসইউসিআই-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন ৷ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এর আগে একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেও৷ এভাবে চলতে থাকলে রোগী রেফার করার প্রবণতা আরও বাড়বে শহরের হাসপাতালগুলিতে ৷ এদিকে বড় হাসপাতালগুলিও ব্যাপক হিমশিম খাবে চাপ সামলাতে গিয়ে৷