কোলকাতা ও হাওড়ার বুকে শুরু হতে চলেছে ‘বিরাট শিব গুরু মহোৎসব’ নামাঙ্কিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চলেছে ‘শিব শিষ্য ফাউণ্ডেশন’-এর কোলকাতা শাখা।
ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের শনি ও রবিবার কোলকাতা ও হাওড়ার বুকে ‘বিরাট শিব গুরু মহোৎসব’ নামাঙ্কিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে ‘শিব শিষ্য ফাউণ্ডেশন’-এর কোলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) শাখা।সম্প্রতি কোলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংস্থার কার্যক্রম সচিব দুর্গাবতী সিং জানান, “জনগণের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেব সম্পর্কে আধ্যাত্মিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাঁচি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন ‘শিব শিষ্য হরীন্দ্রানন্দ ফাউণ্ডেশন’-এর অধ্যক্ষা বরখা আনন্দ” সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে সংস্থার সচিব জিতেন্দ্র শর্মা জানান, “ফেব্রুয়ারী মাসের ৪ তারিখ (শনিবার) কোলকাতার বৈশালী মোড়-এর কাছে ট্যাংরা শীল লেন মাঠে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রথম আধ্যাত্মিক সভা হবে। পরের দিন অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারী বেলুড়ের চাঁদমারি অঞ্চলের ই এস আই হাসপাতাল লাগোয়া টোটো স্ট্যাণ্ডের পাশের ফুটবল মাঠে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত দ্বিতীয় সভা হবে।’শিব শিষ্য হরীন্দ্রানন্দ ফাউণ্ডেশন’-এর তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, “কোনো জাগতিক গুরুর কাছে না গিয়েই উচ্চ বর্ণ বা নিম্নবর্ণের যে কেউ মনে মনে গুরুদের গুরু জগৎ সংসারের আদিগুরু তথা দেবাদিদেব মহাদেবকে নিজের গুরু মানতে পারেন। আদিগুরু দেবাদিদেব মহাদেবকে মনে মনে নিজের গুরু রূপে বরণ করে নেওয়ার সময় যে কোনো ব্যক্তিকে শুদ্ধ অন্তঃকরণে শুধু এটুকু বলতে হবে –
হে শিব ! আপনি আমার গুরু, আমি আপনার শিষ্য শিষ্যা; আপনি আমার উপর দয়া করুন। এর সাথে মনে মনে ভাবতে হবে ও অপরকে প্রয়োজনে বলতে বা বোঝাতে হবে- শিবই পরম গুরু, সকল দেবদেবীরাই শিবকে নিজের গুরু মনে করেন। শিবকে নিজের ও বিশ্ব চরাচরের গুরু মনে করে শুদ্ধ চিত্তে ‘নমঃ শিবায়’ মন্ত্রে তাঁকে নিরন্তর স্মরণ মনন ও পূজন করতে হবে।”প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিবপুরাণ মতে এই জগৎ সংসারে আদিনাথ মহাদেব সমস্ত কিছুর স্রষ্টা, নিয়ন্ত্রক ও সংহার কর্তা। তাঁকে কেন্দ্র করেই আবির্ভূত হচ্ছে বিশ্ব চরাচর।