ক্রমশ কাঁপুনি ধরাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানার ‘-আতঙ্ক! তছনছ হতে পারে বাংলা? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা রাজ্যে প্রশাসনের তরফে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রাজ্য সরকার। উপকূলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে চরম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব রকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।

সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *