ক্রমশ পড়ছে শীত, পরিযায়ী পাখিরা আসছে শুরু করেছে মহানন্দা ব্যারেজ, পোড়াঝাড় এলাকায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : শীতের মরশুম পড়তেই ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজ এবং পোড়াঝাড় এলাকায় পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে। পাখি দেখতে ব্যারেজ এলাকায় সকাল, বিকালে ভিড় করছেন প্রচুর মানুষ। তবে এই পরিযায়ী পাখির চোরা শিকার নিয়ে চিন্তায় পাখিপ্রেমীরাও । মূলত, বিভিন্ন দেশ থেকে স্মল প্র্যাটিনকোল, নর্দার্ন ল্যাপউইং, নর্দার্ন পিনটেইল, রেড ক্রেস্টেড পোচার্ড, গ্রেট ক্রেসডেট গ্রিব সহ আরও অনেক প্রজাতির পাখি শীতের সময় এই এলাকাগুলিতে হাজির হয়। এরমধ্যে হাঁস প্রজাতির পাখিও রয়েছে৷ চোরাশিকারিদের টার্গেট থাকে এই হাঁস জাতীয় পাখি। সঠিক নজরদারির অভাবে চোরাশিকারিরা সহজেই সেই কাজ করতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। চোরাশিকারিদের হাত থেকে পরিয়ায়ী পাখিদের বাঁচাতে এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক দেবর্ষি ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘পাখির চোরা শিকার এবং খাদ্যের সংকট গভীর চিন্তার বিষয়৷ এরজন্য এলাকায় সচেতনতা জরুরি।’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্টোপিকের সভাপতি দীপজ্যোতি চক্রবর্তী বললেন, ‘হাঁস ভেবে দিনের বেলাতেই পরিযায়ী পাখি শিকার হয়। সমস্যা মেটাতে জোর প্রচারও চালানো হবে।’

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পাখিশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে এই মরশুমে আনুমানিক ৯৮টি প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এসেছিল ফুলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়। ২০২৩ সালে প্রায় ৭০টি প্রজাতির পাখি এসেছিল। এবছর গতবছরের তুলনায় বেশি পাখি আসবে বলেই পাখিপ্রেমীরা দাবি করছেন। তবে, এভাবে চোরা শিকার চলতে থাকলে আগামীদিনে এই এলাকায় পাখিদের আনাগোনা থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে, গোটা বিশ্বে বিলুপ্তপ্রায় ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিংয়ের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের সামান্য বেশি। এই প্রজাতির প্রায় একশো পাখি গতবছর পোড়াঝাড় এলাকায় এসেছিল। যা পাখিপ্রেমীদের যথেষ্ট আনন্দিত করেছিল। এই বিশেষ প্রজাতির পাখির খাবার এক বিশেষ ধরনের ঘাসের বীজ৷ সেই ঘাস না জেনে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে৷ এতে খাদ্যের অভাবে তৈরি হলে পাখিগুলি আসবে কি না, সেই আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *