খরচ বাড়বে মুদিখানার মাসিক বিলের , ফের ঊর্ধ্বমুখী হল রান্নার তেলের মূল্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার ভোজ্যতেলের নতুন সংযোজন ঘটল মুদিখানার বিল বাড়াতে। এক বছর ধরে মূলত ভোজ্যতেলের দাম ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে গোটা দেশে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি মাসের গোড়ার দিকে বলেছিলেন, ভারতবর্ষের নির্ভরশীলতা সবথেকে বেশি ভোজ্য তেলের ওপরই। ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে এমনকি তৈল বীজের উত্পাদনের জন্য। গতবছর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অপরিশোধিত ও রিফাইন্ড পাম তেলের আমদানিও, এবার ফের তা চালু হলে আশা করা হয়েছিল ভোজ্যতেলের দাম কমবে। কিন্তু কোথায় কি? দেশজুড়ে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেতেই ভোজ্য তেলের ওপর তার প্রভাব যে পড়বে তা জানাই ছিল। এখন সবচেয়ে বেশি শোচনীয় মধ্যবিত্তের অবস্থা। একটু তেলের প্রয়োজন হয় সামান্য আলু সেদ্ধ ভাত খেতে গেলেও, এমনকি মধ্যবিত্তকে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেই তেল কিনতে গিয়েও। এমনকি যেন ঝাঁঝ লাগছে যেকোনো তেলে হাত দিতে গেলেই।
মূলত, পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সরষের তেল প্রতি কুইন্টালে ১৪ হাজার ২০০ টাকা। সাধারণ বাজারে সরষের তেলের পাইকারি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। সোয়া তেল প্রতিকেজি ১৪৮ টাকা। রাইস তেল প্রতি কেজি ১৩৩ টাকা।
ভোজ্যতেলের অধিকাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে ফলে ক্রমশই বেড়েই যাচ্ছে সূর্যমুখী, রাইস ব্রান সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম। গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশে ১৭ শতাংশ কমেছে ভোজ্যতেলের আমদানি। দেশজুড়ে যখন মানুষের পকেটে টান ধরছে পেট্রোল ডিজেল কিনতে গিয়ে তখন হেঁশেলের ভোজ্য তেল কিনতে গিয়েও ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয় ভারতকে। তারমধ্যে বেড়েছে পরিবহন খরচও। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যে। ভোজ্যতেলের দাম এই পরিস্থিতিতে কবে কমবে আমজনতা এখন রয়েছে সেই আশায়।