গঙ্গাসাগর মেলায় ‘ভিআইপি কালচার’ বরদাস্ত নয়, প্রস্তুতির রূপরেখা বেঁধে দিয়ে কড়াবার্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কুম্ভমেলার পরেই দেশের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সমাগম এই গঙ্গাসাগর মেলা। দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় সাগর তটে ৷ সেই মেলা যাতে নির্বিঘ্নে এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও কোমর বাঁধল রাজ্য প্রশাসন। ২০২৬ সালের গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি ৷ চলবে ১৭ জানুয়ারি ৷ তবে ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করা হচ্ছে ৷ মেলা শুরুর আগে সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকেই আধিকারিক ও মন্ত্রীদের উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, মেলায় কোনওভাবেই ‘ভিআইপি কালচার’ বরদাস্ত করা হবে না ৷ লাল বাতির দাপটে সাধারণ পুণ্যার্থীদের যাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে না-হয় বা তাঁদের যাতায়াতে যাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে প্রশাসনকে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, এই মেলা সাধারণ মানুষের ৷ তাই তাঁদের সুবিধাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

চলতি বছরের শুরুতেই প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনার পর গঙ্গাসাগর নিয়ে আরও বেশি সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কারণ ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমাবস্যায় শাহি স্মান উপলক্ষ্যে কুম্ভমেলায় প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগমে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৯০ জনের বেশি ৷ এ কথা মাথায় রেখে আসন্ন গঙ্গাসগর মেলায় নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাই, আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে জনসমাগম সামলানোই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ সেই লক্ষ্যেই এদিনের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবারও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে । মেলা চত্বর, কপিল মুনি আশ্রম এবং স্নানঘাটে কড়া নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *