গুজব রটতেই প্রাণ বাঁচাতে রেললাইনে নেমে পড়েছিলেন যাত্রীরা, জলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩ জনের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রাণ বাঁচাতেই ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সকলে। আসলে মৃত্যু যে পাশের লাইনে অপেক্ষা করছে, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। ট্রেনে আগুন লাগার গুজব রটতেই প্রাণ বাঁচাতে রেললাইনে নেমে পড়েছিলেন যাত্রীরা। সেই সময়ই পাশের লাইনে ট্রেন এসে উড়িয়ে দিল তাদের। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে। আগুন লাগার গুজব কে রটিয়েছিল? কেনই বা ট্রেনের চালক ব্রেক কষেছিলেন?

বুধবার রাতে জলগাঁওয়ের মাহেজি এবং পরধাড়ে স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পুস্পক এক্সপ্রেসে হঠাৎ গুজব রটে যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হতেই ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা ভয়ে রেললাইনে নেমে পড়েন। রাতের অন্ধকারে কেউই দেখতে পাননি যে রেললাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখান দিয়েই আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন আসছে। যতক্ষণে ট্রেনের হর্ন ও আলো নজরে আসে, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। পাশের লাইন দিয়ে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে। ট্রেনে কাটা পড়েন ১২ জন।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম প্রশ্ন, কেন চালক ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়েছিলেন? যাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, চালক ব্রেক কষতেই চাকায় আগুনের ফুলকি দেখা যায়। কয়েকজন যাত্রী তা দেখেই বলেন যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। সেখান থেকে ছড়ায় গুজব এবং তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। যদিও রেল সূত্রে খবর, ট্রেনের চেইন টেনেছিলেন কেউ। সেই কারণেই চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। এরপরই যাত্রীরা রেললাইনে নামে। আরেকটি পক্ষ আবার দাবি করেছে, পুস্পক এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক কী কারণে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *