চরম কান্নার রোল শহিদের কফিনবন্দি দেহ আঁকড়ে, গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন বীর জওয়ান ঝন্টুকে শেখকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তোড়জোড় শুরু হয়েছিল আগেই। সকালেই ভারতীয় জওয়ান ঝন্টু শেখের কফিন দেহ পৌঁছায় বাড়িতে। চোখে জল নিয়েও দেশবাসীকে অশান্তি এড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান ঝন্টুর দাদা শফিকুল শেখ। দেহ পৌঁছাতেই ফের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনদের। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রীও। ভিড় করেন পাথরঘাটা এলাকার প্রচুর মানুষ। সকলের চোখেমুখেই বিষাদের ছায়া। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ির এলাকাতেই বীর শহিদকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের নৃশংস হত্যার পর থেকে ফুঁসছে গোটা দেশ। বদলার জোরালো আওয়াজ উঠছে দিকে দিকে। জঙ্গি হামলার ঘটনার পর উধমপুরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে শহিদ হন ঝন্টু। খবরটা বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া ঝন্টুর তেহট্টের বাড়িতে। শোকের আবহ গোটা এলাকাতেই। গোটা এলাকাতেই বীর জওয়ানের ছবিতে মুড়ে ফেলা হয়। কখন আসবে ঘরের ছেলের দেহ, সেই প্রহর গুনছিল তেহট্ট।
জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় মাথায় এবং দুই কাঁধে গুলি লাগে ঝন্টুর। তাঁর সতীর্থরাই তাঁকে উদ্দার করে দ্রুত চপারে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। কাশ্মীর থেকে প্রথমে ঝন্টু দেহ আসে ব্যারাকপুর সেনাবাহিনীর হাসপাতালে। সেখান থেকেই বাড়িতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। শুক্রবার সেনা হাসপাতালের মর্গে যেতে দেখা যায় বিধাননগর পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তকে।