চরম ‘বিপর্যয়’আরব সাগরে,ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে বাংলায় বর্ষা নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভয় ছিল বাংলার কপালে । পূর্বাভাস মিলতেই গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছিলেন আবহাওয়াবিদরা। তবে শেষ রক্ষা হয়েছিল। কিছুদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় মোখা বেরিয়ে গিয়েছে বাংলার কান ঘেঁষে । বিধ্বংসী ওই ঘূর্ণিঝড়ের বড়সড় প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছিল মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। এবার ফের আশঙ্কা বড় ‘বিপর্যয়ের’ ।
বাংলায় বর্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। সোমবারই নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল আরব সাগরে। আজ সেটি শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ, পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। কোথায় ল্যান্ডফল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাহলে আশঙ্কা কোথায়? আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরেই বন্দি থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে আশঙ্কা রয়েছে বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার ।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গোয়া থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব ৯২০ কিমি। মুম্বই থেকে ১০৫০ কিমি। ক্রমশ উত্তর মুখে এগোবে বিপর্যয়। পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে পৌঁছে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বিপর্যয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত কেরলেই পৌঁছায়নি বর্ষা। যদিও অন্যান্য বছর সাধারণত এই সময় কেরলে ঢুকে যায় বর্ষা। কিন্তু, আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন সেই পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও অন্তত ১-২ দিন লেগে যাবে। ফলে আপাতত সেদ্ধ হওয়াই নিয়তি বাংলার। অন্তত ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে । বিগত কয়েক সপ্তাহে সন্ধ্যার দিকে কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে বাংলার একাধিক জেলায়। এমনকি চলেছে বৃষ্টিও। কিন্তু, জুনের শুরু থেকেই ক্রমশ বেড়েছে গরমের দাপট। বৃষ্টি কবে? সকলের চোখেমুখে যেন শুধু এখন একটাই প্রশ্ন। তবে এই পরিস্থিতিতেও আবহওয়াবিদরা বিশেষ সুখবর দিতে পারছেন না বিপর্যয়কে মাথায় নিয়ে।