‘চরম সর্বনাশ’ মুহূর্তের ভুলেই, আজই সতর্ক হোন, পুলিশও চরম হতবাক নারী পাচারের এই অদ্ভুত কায়দা জেনে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারী পাচার! তারপর যৌনপল্লিতে বিক্রি! ঠিক যেন বাংলা ওয়েব সিরিজ ‘আবার প্রলয়’-এর স্লট। পাচার হওয়া তারকেশ্বরের নাবালিকাকে বিহারে উদ্ধারে গিয়ে পাচার চক্রের পর্দাফাঁস হুগলি গ্রামীণ পুলিশের। নারী পাচারে অভিযুক্ত চক্রের দুই এজেন্ট-সহ চক্রের এক মূল পাণ্ডা গ্রেফতার। ধৃত মিজানুর মণ্ডল, শ্রীরাম রায় ও নন্দকিশোর কুমার। জানা গেছে মিজানুরের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর, শ্রীরাম রায়ের বাড়ি কলকাতার তারাতলা এবং নন্দকিশোর কুমারের বাড়ি বিহারের চম্পারণে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই তারকেশ্বর এলাকা থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। গত ১৩ জুলাই তারকেশ্বর থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। এরপর তদন্তে নেমে ওই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাবলিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে তার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় রাহুল নামে এক যুবকের। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারকেশ্বর থেকে বিহারে নিয়ে যায় রাহুল। পরে জানা যায় রাহুলের আসল নাম মিজানুর মণ্ডল। লোকেশন ট্র্যাক করে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনার সঙ্গে নারী পাচার চক্রের যোগ পায় পুলিশ। তদন্তের গতি বাড়িয়ে অবশেষে নারী পাচার চক্রের একের পর এক সূত্র খুঁজে পায় পুলিশ। শুধু মাত্র প্রেমের ফাঁদ নয়, কাজের টোপ দিয়েও মহিলা ও নাবালিকাদের এরাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যের যৌন পল্লিতে পাচার করা হতো।

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মূলত সমাজ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ ও কাজের টোপ দিত মিজানুর মণ্ডল ওরফে রাহুল ও শ্রীরাম রায়। এরপর তাদের ফাঁদে ফেলে নন্দ কিশোর কুমারের হাতে তুলে দেওয়া হতো। এই সূত্র হাতে আসতেই ফাঁদ পাতে তারকেশ্বর থানা ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। গত ২৫ অক্টোবর মিজানুর মণ্ডল ও শ্রীরাম রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ পরে দিন ২৬ অক্টোবর নন্দ কিশোর কুমার কে নদিয়া জেলার বাংলাদেশ বর্ডার লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হুগলি গ্রামীন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সাথে যুক্ত বাকিদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *