চিন জাকিয়ে বসবে প্রশান্ত মহাসাগরে! কোয়াড বৈঠক বাতিল আমেরিকার কারণে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাতিল হয়ে গেল কোয়াড বৈঠক,যার জন্য দায়ী একমাত্র আমেরিকাই । কিন্তু ভারতের এমূহুর্তে কত বড় ক্ষতি হল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিডনি যেতেন। কিন্তু বাইডেন যা করলেন তারপরই পরিণাম চিনের ‘এশিয়ান ন্যাটো’ বৈঠক না হওয়ার এ সুযোগটাই হতে পারে মারাত্মক। খবরটা মোটামুটি অনেকেই জানেন যে অস্ট্রেলিয়া এবারের কোয়াড বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন। আর সেটা করার প্রধান কারণটাই হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? কেন আমেরিকা এমনটা করলো? আমেরিকা কি চাইল এবার প্রকাশ্যে চিনের বিরুদ্ধে গিয়ে বৈঠক করতে। তাতে ভারতের ক্ষতি বা লসের কথাই বা কেন বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এই প্রতিবেদন এখনও পর্যন্ত যদি আপনি শোনেন তাহলে আগে জেনে রাখাটা দরকার কোয়াড কি? এই গ্রুপে কারা রয়েছে আর চিন কেন নেই? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুট করে জানান ২২-২৪ মে সিডনিতে যে কোয়াডের বৈঠক হবে তাতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এশিয়ার ন্যাটো কোয়াডকে চিন ঠিক এই নামেই ডাকে।
কোয়াড হল চারটি দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংলাপের একটি গ্রুপ। কোয়াড মানে চতুর্ভুজ নিরাপত্তা সংলাপ। চারটি সদস্য দেশ ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের অভিন্ন স্বার্থে একত্রিত হলেও কোয়াডের মূল উদ্দেশ্য একটাই ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাধারণ স্বার্থ রক্ষার। জেনে রাখুন বেজিং কিন্তু এই গ্রুপের প্রথম থেকেই বিরুদ্ধে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯ থেকে ২৪মে সফর করবেন তিনটে দেশ। আর তাঁর সফরসূচী গুরুত্বপূর্ণ ছিল কোয়াডের বৈঠক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, কারণ মার্কিন সেনেটে এবার রয়েছে আমেরিকা অনেক বড় বিল পাশের ইস্যু। ঋণ সিলিং ডেট বিল এবার পাশ করাতে হবে বাইডেনকে। নয়ত অর্থনীতিতে আসবে বড় ভাটা।
কূটনৈতিক মহল বলছেন এটা যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ তেমনই এবারের কোয়াডের বৈঠক হওয়াটাও ইমপরটেন্ট ছিল৷ বাইডেন নিজে না আসতে পারলেও সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনকে তো পাঠাতেই পারতেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবেনিসও সেই ধরণের কথাই বলেছেন। কোয়াড তৈরির প্রথম আইডিয়া দেয় জাপান। ২০০৭ সালে, জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উদ্যোগ নিলেও অস্ট্রেলিয়ার সমর্থনের অভাবে জোট গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০১৭ সাল মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের কার্যকলাপ বাড়ছিল। অস্ট্রেলিয়া সেসময় তার মন পরিবর্তন করে এবং কোয়াড তৈরি হয়। চিন প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল কোয়াডে থাকা দেশগুলো কখনই একত্রিত হতে পারবে না। কোয়াড গঠন হতে চিনের ভুল ভেঙে যায়। এর থেকে বোঝা যায় চিনকে প্রতিরোধ করতে কতটা মোক্ষম দাওয়াই হল কোয়াড৷ কিন্তু এবারের বৈঠক বাতিলের ফলে ভারতের প্রাথমিক পর্যায়ে হয়ত কোনও ক্ষতি হবে না। তবে লস সূদুরপ্রসারি হবে কিনা সেটাই দেখার৷