‘চুরি ধরেছি, এবার চোরকেও ধরব’, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল রাহুল গান্ধী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘চুরি ধরেছি। এবার চোর ধরব।’ নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ ইস্যুতে বুধবার এমনই মন্তব্যে ফের নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়ালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ভোটার তালিকায় অনলাইনে নাম যুক্ত বা কাটতে নিয়মে কিছু পরিবর্তন করেছে কমিশন। কড়াকড়ি করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, সেটি হয়েছে রাহুল গান্ধী সরব হওয়ার পর। কর্ণাটকের আলন্দ বিধানসভার উদাহরণ তুলে ধরে রাহুলের অভিযোগ ছিল, যেকেউ অনলাইনে যে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে। তাই নিয়মে কড়াকড়ি করার খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরাসরি টার্গেট করেছেন রাহুল গান্ধী।

তিনি বলেন, ‘জ্ঞানেশজি, আমরা চুরি ধরার পরে কড়াকড়ি করার কথা আপনার মনে পড়ল? এবার চোরও ধরব। বলুন কর্ণাটক সিআইডি’কে কবে তথ্য দেবেন?’ বুধবার বিহারের পাটনায় বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী। তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সভাপতিত্বে রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ, ভূপেশ বাঘেল, শচীন পাইলটের মতো ৫১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিহারে এবার নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে কংগ্রেস। ভোট চুরির ইস্যু আরও জোরদার করা হবে। হবে পাঁচ কোটি সই সংগ্রহ। জেলায় জেলায় ভোটাধিকারের প্রচার বাড়ানো হবে। ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’ স্লোগানটিকে মানুষের মুখে মুখে ফেরাতে হবে। বৈঠকে রাহুল বলেছেন, বিহারে ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। খাড়্গে জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারকে বিজেপিই আর চাইছে না। নীতীশ কুমার আয়ারাম গয়ারাম বলেই পরিচিত। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের প্রতি ভোটারদের আকর্ষণ বাড়াতে হবে।