ছাত্রমৃত্যুর চারদিনের মাথায় খড়গপুর আইআইটি’তে ফের রহস্যজনক মৃত্যু হল ১ ছাত্রের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : চারদিন আগের ছাত্রমৃত্যুর ক্ষত এখনও দগদগে ৷ তার মধ্যেই সোমবার রাতে ফের পড়ুয়ার মৃত্যু খড়গপুর আইআইটিতে ৷ তাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একাধিক মহলে ৷ জানা গিয়েছে, রাতের খাবারের পর চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেতে গিয়ে মৃত্যু হয় আইআইটি খড়গপুরের এক পড়ুয়ার । খাওয়ার সময় ওষুধ শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পুলিশ ও আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।
এদিনের রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে আইআইটি খড়গপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ক্যাম্পাসে অবস্থিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা তথা সিপিআর দেওয়া শুরু হয়। তবে চিকিৎসা চলাকালীনই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। মৃত ওই ছাত্রের ময়নাতদন্ত হবে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। চন্দ্রদীপ পাওয়ার নামে এই মৃত পড়ুয়ার বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।”

আইআইটি ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়গপুরের নেহেরু হলে (ডি-৪০৮ রুমে) থাকতেন চন্দ্রদীপ । এদিন রাতে খাবার খাওয়ার পর জ্বর-সর্দির ওষুধ খাওয়ার সময় শ্বাসনালীতে ট্যাবলেট আটকে যায় ৷ গলায় ওষুধ আটকে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয় চন্দ্রদীপের । এরপর দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিপিআর’ও দেওয়া হয়। তবে, শেষরক্ষা হয়নি ৷ ওখানেই মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা চন্দ্রদীপ পাওয়ারের। যা নিয়ে আইআইটি চত্বরে নেমে আসে শোকের ছায়া। এদিকে ইতিমধ্যেই মৃত চন্দ্রদীপের পরিবারকে খবর দেওয়া হয় আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে।
উল্লেখ্য,এর আগে গত শুক্রবার আইআইটি খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ঋতম মণ্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রুমে। আর এই ঘটনার মাত্র চারদিনের মধ্যেই ফের দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসেই ৫ জন মেধাবী পড়ুয়ার মৃত্যু হল আইআইটি খড়গপুর ক্যম্পাসে।