জনসংখ্যার নিরীখে ভারত ছাড়িয়ে গিয়েছে চিনকেও বিশ্লেষকরা দিলেন এমনি চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট
ভারতের জনসংখ্যা চিনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এই জন-বিস্ফোরণের অর্ধেকই ৩০ বছরের কম বয়সি বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ভারত ইতিমধ্যে মাইলফলক তৈরি করে দ্রুত বিশ্বের দ্রুত প্রধান অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসছে।
ভারত চিনকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বের সবথেকে জনবহুল জাতি হিসেবে উঠে আসছে। তার ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অর্থার আগামী দিনে ভারতীয় অর্থনীতি আরও উন্নতি লাভ করবে।
আদমশুমারি ও জনসংখ্যার উপর সমীক্ষা চালানো স্বাধীন এক সংস্থার পর্যালোচনা থেকে অনুমান করা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষে ভারতের জনসংখ্যা ১.৪১৭ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সাড়ে ১৪১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারতের জনসংখ্যা। মঙ্গলবার চিন রিপোর্ট করেছে তাদের জনসংখ্যা ১.৪১২ বিলিয়ন। অর্থাৎ ১৪১ কোটি ২০ লক্ষ। আর ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৭০ লক্ষ।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে সৈন্যদের মেয়াদকে চার বছরে সীমাবদ্ধ কররা জন্য গত বছর সরকারের পদক্ষের প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী চাইছেন বর্তমান অর্থনীতি ১৪ শতাংশ থেকে আরও উন্নতি করতে।
ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। করোনা মহামারীর পর তুলনামূলকভাবে অর্তনীতি পুনরুদ্ধারে মোদীর ভারত এগিয়ে রয়েছে। প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ এখনও সরকার থেকে নিখরচায় খাদ্য বা রেশনের উপর নির্ভর করে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
আপাতত এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত। খাদ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।। ভারত এখন চাল, গম এবং চিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক। ভারত চিনির বৃহত্তম ভোক্তা, যদিও ভোজ্য তেলের শীর্ষ আমদানিকারক। ভারত হ’ল সোনার এবং স্টিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাহক এবং অপরিশোধিত তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে গেছে বর্তমানে। ডাব্লুপিআর মনে করছে, এই বৃদ্ধির হার কমপক্ষে ২০৫০ অবধি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে চিন বর্তমানে আরও কিছুটা সংকোচনের পথে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এক বছর আগের তুলনায় চিনের জনসংখ্যা ২০২২ সালে ৮ লক্ষ ৫০ সঙ্কুচিত হয়েছিল।