জাহাজ বাঁধা হল দড়ি দিয়ে , বন্ধ বন্দরের কাজ; ডকে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যশ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আগামী ২৪ ঘণ্টায়৷ বুধবার দুপুর ১২ টা নাগাদ আছড়ে পড়বে ওড়িশা-বাংলা সীমান্তে, মৌসম ভবন এমনটাই জানিয়েছে৷ ভূভাগে ঝড় প্রবেশ করার পর ভারী বৃষ্টি শুরু হবে হাওয়ার দাপটের সঙ্গে সঙ্গে৷ পশ্চিমবঙ্গে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪পরগনায়৷ বুধবার ২৬ তারিখ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার থাকবে সকালে হাওয়ার গতিবেগ৷ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণঝড়ের গতিবেগ হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার৷ পড়শি রাজ্য ওড়িশার বালাসোর, এ রাজ্যে দীঘা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়৷ এদিকে কলকাতা বন্দরও একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে যশ মোকাবিলায়৷
যশ মোকাবিলায় কলকাতা বন্দরের প্রস্তুতি : তুলে নেওয়া হয়েছে সমস্ত জাহাজের নোঙর ৷বন্দরে থাকা জাহাজগুলিকে বাঁধা হয়েছে অতিরিক্ত দড়ি দিয়ে৷ বন্দরের কাছাকাছি নদীতে থাকা সমস্ত জাহাজকে নিয়ে আসা হয়েছে বন্দরের ভেতরের দিকে ৷মঙ্গলবার থেকে কলকাতা বন্দরে ছোট-বড় সব ধরনের জলযানের আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ ৷আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টো থেকে বন্দরের সমস্ত বাণিজ্যিক কাজ বন্ধ ৷ বিকেল চারটের মধ্যে বন্দর ছাড়তে বলা হয়েছে কার্গো জাহাজগুলির কর্মীদেরকে ৷বন্দরের রেল যোগাযোগ বন্ধ আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকেই ৷ ওয়াগান খালি করার কাজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার পর আর হবে না ৷আপতকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক ডিজ়েল জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেগুলিকে বন্দরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় রাখা হয়েছে৷ একাধিক দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যারা ল্যাডার, পাম্প ইত্যাদি তৈরি রাখবে ঘূর্ণিঝড় মোকবিলায় ৷ঝড়ে যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য সুরক্ষিত করা হয়েছে ক্রেন, বাসকুইল ব্রিজ, সুইং ব্রিজগুলি ৷কলকাতা বন্দরে ৩ টি অ্যাম্বুলেন্স ও হলদিয়া বন্দরে ৪ টি অ্যাম্বুলেন্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আহতদের হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য ৷কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে দুই বন্দরেই৷ যেখানে স্যাটেলাইট ফোনেরও ব্যবস্থা রয়েছে৷তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বন্দরের দমকল কর্মী ও ডুবুরিদেরও৷ কলকাতা ও হলদিয়ার দুটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করা হয়েছে৷