জোড়া বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ পুজোর মুখে , মৃত ৯ মহিলা-সহ অন্তত ১৭ জন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সামনেই মূলত উৎসবের মরসুম। প্রথমে দুর্গাপুজো, তারপরই আসছে দীপাবলি। উৎসবের ঠিক মুখেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হল তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর জেলা। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর), জেলার দু-দুটি আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুটি ঘটনা মিলিয়ে নয় মহিলা সহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নমুনা পরীক্ষা করার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে শিবকাশির এক আতশবাজির কারখানায় বড় মাপের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ওই ঘটনায় অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “শিবকাশিতে এক আতশবাজির দোকানে আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে সাতটি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তারা বাজি কারখানার শ্রমিক হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
এরপর, ওই একই জেলার কাম্মাপট্টি গ্রামে আরও একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ক্ষেত্রেও অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে, জানা গিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং হতাহতদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ এবং দমকল কর্মীদের সঙ্গে জনসাধারণও হাত লাগায়। পুলিশ জানিয়েছে ওই আতশবাজির কারখানাগুলির অন্তত একটির বৈধ লাইসেন্স ছিল। অন্য দোকানটির লাইসেন্স ছিল, না সেটি বেআইনিভাবে চলছিল, তার তদন্ত চলছে।
এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে, গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। বাজি বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে, এই জোড়া বিস্ফোরণ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন স্ট্যালিন। মাত্র ক.য়েকদিন আগে, ৯ অক্টোবর আরিয়ালুর জেলার ভিরাগালুরেও এক আতশবাজি গোডাউনে বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। পরদিনই তামিলনাড়ু বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা এডাপ্পাদি পলানিস্বামী, আতশবাজি তৈরির কারখানা এবং দোকানগুলিতে যথায়থ সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তামিলনাড়ু সরকারকে।