তলপেটে চরম যন্ত্রণা আচমকাই , ৫৯ জন বিরল রোগে ভুগছেন পুণেতে, একদিনেই আক্রান্ত হল ৩৫ জন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গুইলাইন-ব্যারে সিন্ড্রোম (জিবিএস)-এ আক্রান্ত পুণের ৫৯ জন বাসিন্দা। বিরল এই স্নায়ুরোগে গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন বাসিন্দা। এর মধ্যে ১২ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ এবং ২০ জন মহিলা। জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে পুনে গ্রামীণ এলাকা থেকে ৩৩ জন, পুনে থেকে ১১ জন এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় পৌর এলাকা থেকে ১২ জন রয়েছেন। পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা তিনজন রোগীও পুনেতে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিকর্তা ডাঃ ববিতা কমলাপুরকর বলেন, “রাজ্যের র্যাপিড রেসপন্স টিম বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং নজরদারি শুরু করা হয়েছে। রোগীদের মল এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুনের জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইভি) পাঠানো হয়েছে। যে সমস্ত এলাকা থেকে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, সেখানকার জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, ”বেসরকারি চিকিৎসকদের জিবিএস-এর সন্দেহভাজন কোনও রোগীর খোঁজ পেলে তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ববিতা জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বাস্থ্যবিভাগ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পুনে পৌরসভার স্বাস্থ্যপ্রধান ডাঃ নিনা বোরাডে জানান, বেশিরভাগ রোগীই সাম্প্রতিক সময় বাইরের খাবার বা জল খেয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে, রোগীরা পেটের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, যা কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। পরে হঠাৎই তাঁরা দুর্বল বোধ করেন। যা জিবিএসের একটি লক্ষণ।” আপাতত পুনে শহর, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়, নান্দেড়গাঁও, নান্দোশি, কির্কিটওয়াড়ি, ধায়ারি এবং খড়কওয়াসলার বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণত জিবিএস-এ আক্রান্তদেক শরীর নিচের অঙ্গে, তারপর উপরের অঙ্গে দ্রুত দুর্বলতা দেখা দেয়। ক্রমে তা শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশীতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জেজুনি ব্যাকটেরিয়া থেকে এই সংক্রমণ হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জিবিএস সঠিক চিকিৎসাতেই সেরে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।