ত্রিপুরা রাজ্যের “লংকামুড়া” এক আল্পনা গ্রাম, এক সুখী মানুষদের গ্রাম, কোনো ধনী ব্যক্তিদের চোখে পড়বে না সেখানে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : লংকামুড়া, আগরতলা শহর লাগোয়া এই গ্রামটি এমনিতেই তার ঐতিহ্যের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। বরাবরই ত্রিপুরার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকে এই গ্রামটি। জ্যামিতিক নকশা এবং রংবাহারি আঁকা বুঁকিতে এখন প্রত্যেকের কাছেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই গ্রামটি। গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই এখন এই গ্রামটির চর্চা, একদিন সকালে স্যাম এবং পায়েল মিলে ঘুরে এলাম আমার অন্যতম প্রিয় গ্রামটি।

আগরতলা শহর থেকে আল্পনা গ্রামের দূরত্ব দশ কিলোমিটারের মধ্যেই। এয়ারপোর্টে পৌঁছুবার আগে ভারতরত্ন ক্লাবের পাশ দিয়ে মূল রাস্তা থেকে এক-দেড় কিলোমিটার বাঁদিকে ঢুকতে হয়। এলাকাটি কাপালি পাড়া হিসেবেই এতদিন পরিচিত ছিল, কারণ এখানে বেশিরভাগ কাপালি সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এই কাপালি সম্প্রদায়ের লোকেরা সাধারণত কৃষিজীবী অথবা কৃষিশ্রমিকের পেশায় নিযুক্ত এবং নারীপুরুষ নির্বিশেষে কঠোর পরিশ্রমী হয়। আজকাল যদিও বাঙালির এই সম্প্রদায় ভিত্তিক পেশার পরিচয় প্রায় মুছেই গেছে। এখন সব সম্প্রদায়ের লোকই হরেক পেশায় নিযুক্ত। তবু এখানে ঘুরে ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা গেল, কাপালি পাড়া পরিচয় থেকে বর্তমানের আল্পনা গ্রামের পরিচিতিতে তারা খুশি।

পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে অত্যন্ত সুন্দর আল্পনার বৈচিত্র্য আর শৈল্পিক সুষমা । ঘরের মাটির দেয়ালে এবং উঠোনে বিধৃত রয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী আল্পনার কাজ। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু আধুনিক শিল্পের ছোঁয়া দেখে মনে প্রশ্ন জাগল। জিজ্ঞেস করে জানা যায়, এগুলো করে দিয়েছে ত্রিপুরা সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিষয়টি আরও বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য নাকি এগুলো করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *