দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বকে কড়া বার্তা অভিষেকের, ফল ভাল না হলে দেওয়া হল এমনকি পরিবর্তনের ইঙ্গিত

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে করা বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বকশি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানালেন এত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও কেন ফল ভালো হচ্ছে না? দলের মধ্য কেন এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? ফল ভালো না হলে পরিবর্তন কিন্তু অবশ্যম্ভাবী। বর্তমানে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি রয়েছে, আগে জেলা সভাপতি ছিলেন পাপিয়া ঘোষ, তিমি বর্তমানে কোর কমিটিতেও আছেন, পাপিয়া দেবী যতদিন জেলা সভাপতি ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহাকুমা পরিষদ যে এনে দিয়েছেন নিজের একক কৃতিত্বে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তার ব্যবহার তার কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলকে, বর্তমানে তিনি আর জেলা সভাপতি নেই, জেলা সভাপতি কে বদল করে নয় জনের কোর কমিটি করা হয়েছে। এই কোর কমিটি কতটা কাজ করতে পারবে সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

এদিকে বিধানসভা আজকে আর বেশি দেরি নেই, আর দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল ভালো হচ্ছে না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এইভাবে চললে পুরো খোল নালচে বদলাতে হবে। যদিও ন জনের কোর কমিটির সদস্যরা ইঙ্গিত দিয়েছেন সবাই একসাথে লড়াই করবেন, কিন্তু সেটা বাস্তবে কতটা ফলবে সেটা নিয়েও সন্দেহ, না পড়লে আবার পরিবর্তন এটা রিঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি আবার জেলা সভাপতি আনা হবে ? সবকিছু সময় বলবে , কারণ পাপিয়া দেবীকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। পাপিয়া দেবীর ব্যবহারের প্রশংসা করেন বিরোধীপক্ষরাও, কংগ্রেস সিপিএম এবং বিজেপি। আজই তার ভালো ব্যবহারের একটা ফলাফল তো আছেই। আর সেটা কে হারাতে চাই না তৃণমূল, জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ যখন ছিলেন একুশে জুলাই কলকাতা গিয়েও নিজের দলের কর্মীদের খোঁজ করেছেন। খেয়েছেন নাকি কারো শরীর খারাপ নাকি কেউ ঘুমিয়েছেন নাকি। এই ধরনের ব্যবহার আগের কোন জেলা সভাপতি করেননি এটা কর্মীরাও স্বীকার করেন। সুব্রত বকশি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কে। সব কিছুরই একটাই শেষ কথা ফলাফল। তবে কি আবার পাপিয়া ঘোষ আসবেন? কারণ তিনি এই কয় বছরে অনেক কিছুই চিনে ফেলেছেন। কর্মীদের মন বুঝতে পেরেছেন, তাই তার একটা ভালো দিক তো আছেই। এটা কলকাতার শীর্ষ নেতৃত্ব জানেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল যদি মনে করে জেলা সভাপতি হলেই ভালো ফলাফল হবে তবে কিন্তু একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। বাকিটা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *