দিল্লিতে একমাত্র দিদিকে চাই, রাহুল গান্ধী হতে পারেননি মোদীর বিকল্প মুখ , অবশেষে প্রচার শুরু তৃণমূলের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : লক্ষ্য এখন ২০২৪ -এর নির্বাচন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমতো ঝাঁপিয়েছে কেন্দ্রে বড়সড় রদবদলের লক্ষ্যে। এমনকি এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এখন একমাত্র পাখির চোখ দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে দেওয়াই। সেইমতো ঘাসফুল বাহিনী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। মূলত রাহুল গান্ধীর বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হিসেবে।
এর আগে একটা কথা খুব শোনা গিয়েছিল উনিশের নির্বাচনের আগে। অনেকেই যে কারণ দেখিয়েছিলেন এনডিএ জোটের সাফল্যের পিছনে তা কৃতিত্ব নয় বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদীর। বলা হয়েছিল মোদীর বিকল্প মুখের অভাবই কেন্দ্রে আবার তাঁকে ক্ষমতায় এনেছে। এবার তৃণমূল চাইছে সেই অভাবটাই পূরণ করতে। এই ডাক দেওয়া হয়েছে এমনকি উত্তর কলকাতার জেলা তৃণমূলের কর্মিসভা থেকেই। আরও বলা হচ্ছে, রাজ্যের শাসকদল কখনওই ভাবছে না কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী বিকল্পের কথা। তবে রাহুল গান্ধী নিজেকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেননি নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হিসেবে। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পালা ক্রমশ শুরু হচ্ছে মোদীর বিকল্প হিসেবে। এই কর্মিসভা হয় বুধ ও বৃহস্পতিবার এই ২ দিন ব্যাপী।
কর্মিসভার ভাষণে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, রাহুল গান্ধীকে আমি চিনি বহুদিন ধরেই। তবে দেশে একটা বিকল্প দরকার। আর সেটা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনে দিতে পারেন। রাহুল গান্ধী হয়ে উঠতে পারেননি মোদীর বিকল্প মুখ। সুদীপ বাবু দাবি করেছেন গুজরাত, গোয়ার লোকজনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চান বলেই। এদিকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, তৃণমূল ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করবে আগামী ২০২৩ সালে। তার পরের বছর তৃণমূলই হয়ে উঠবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের একমাত্র ভরকেন্দ্র।