দীঘা জগন্নাথধাম মন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত হলেন হিন্দুমহাসভা, রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য বাংলায় স্থাপিত হলো সনাতনের ভিত্তিপ্রস্তর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দীঘায় জগন্নাথধাম মন্দিরের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সমগ্র বিষয়টিকে বাংলায় সনাতনের জয় ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বলে মন্তব্য করলেন হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ।এদিন সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মঞ্চে প্রথম সারিতেই দেখা গেল হিন্দুমহাসভার রাজ্য কমিটির ছয়জনের প্রতিনিধি মণ্ডলকে । অনুষ্ঠানের শুরুতে এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে সঙ্গীত পরিবেশন করলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, জিৎ গাঙ্গুলী, অদিতি মুন্সী, নচিকেতা চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইমন চক্রবর্তীর মত বিশিষ্ট শিল্পীরা । এরপর নৃত্য পরিবেশন করলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলী এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীরা ।

এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ঠিক তিনটে দশ ঘটিকায় দীঘা জগন্নাথধামের দ্বারোদঘাটন করলেন । সরকারী টাকায় মন্দির স্থাপনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বললেন হিন্দুমহাসভা বরাবরই সারা দেশে মন্দির স্থাপনের পক্ষে । কোন স্থানে এই রকম বড় মন্দির গড়ে উঠলে একদিকে যেমন মানুষের ধর্মাচরণের সুযোগ হয় আবার অন্যদিকে সেই স্থানে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যার মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের আর্থিক উন্নতি ও রুটিরুজির সংস্থান হয় । তাই জগন্নাথমন্দির সরকারি টাকায় করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই ।

তিনি আরো বলেন অযোধ্যায় রামমন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল হিন্দুমহাসভার, আর আজ পশ্চিমবঙ্গে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের মুহূর্তেও সাক্ষী থাকলো হিন্দুমহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা । আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই প্রভু রামচন্দ্র যেমন ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার সেই রকম জগতের নাথ জগন্নাথদেবও ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আরেক রূপ । তাই মন্দির স্থাপনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে আগামী দিনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এইভাবে বড় বড় মন্দির গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করে ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিলভারত হিন্দুমহাসভা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *