দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে গ্রিন করিডর হার্ট অ্যাটাক হলে , বিনা পয়সায় মিলবে৪০ হাজারের ইঞ্জেকশন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নয়া উদ্য়োগ নিল রাজ্য প্রশাসন। স্ট্রোরে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনতে ‘গ্রিন করিডর’ তৈরির উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। প্রতিটি থানায় এই মর্মে চলে গিয়েছে মেসেজ। শুধু তাই নয়, এবার থেকে হদরোগে আক্রান্ত রোগীদের দেওয়া হবে চল্লিশ হাজার টাকা ইঞ্জেকশনও। আর তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম এক ঘণ্টা সময়কে বলা হয় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হলে অনেক সময় রোগী পুরোপুরি সুস্থ হন। শুধু তাই নয়, ৪৮ ঘণ্টা পর হেঁটে বাড়িও ফিরে যেতে পারেন তিনি। তাই সময় এখানে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোগীর সিটি স্ক্যান করে তার রিপোর্ট পাঠানো হবে এসএসকেএম অথবা বাঙুর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। তবে এ ধরনের রোগীকে অনেক সময় চল্লিশ হাজার টাকা মূল্যের ইঞ্জেনশন দিতে হয়। সেই ইঞ্জেকশনও বিনামূল্যে তমলুকে পাওয়া যাচ্ছে। তাই স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য সবার আগে থানায় একটি ফোন করা জরুরি। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গোটা সড়ক ‘গ্রিন করিডর’ করবে জেলা পুলিশ। এর পাশাপাশি জেলার সরকারি অফিস গুলোতেও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত ১লা জুলাই ‘ডক্টরস ডে’ থেকেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, “স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমত, বাড়ি থেকে দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তাই স্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটলে থানায় খবর দিন। রোগীকে হাসপাতালে আনার পর সিটি স্ক্যান করে আমরা টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে কলকাতার নামী হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছি। অনলাইনে স্ক্যানের রিপোর্ট পাঠানো মাধ্যম দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। আর এই ধরনের রোগীর জন্য যে বহুমূল্য ইঞ্জেকশন প্রয়োজন হয় সেটিও জেলা হাসপাতাল তমলুক ও মেডিক্যাল কলেজে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।”