ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির দিনে বাঁকুড়ার ছাতনায় পালিত হলধনঞ্জয় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের ঐতিহাসিক কর্মসূচি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি আজ প্রায় একুশ বছর হয়ে গেল কিন্তু আজও সেই ফাঁসিকে কেন্দ্র করে মানুষের ক্ষোভ এবং বিতর্ক দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে । ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ” আজ দীর্ঘ দিন ধরে মামলা পুনর্বিচারের দাবীতে কলকাতা, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করে চলেছে ।

ইতিমধ্যেই তারা মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদনপত্র ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে দিয়ে এসেছেন । ফাঁসুরে নাটা মল্লিকের পরিবারও এই মঞ্চে যোগদান করে দাবী তুলেছেন ধনঞ্জয় মামলাটি পুনর্বিচারের । আজ ১৪ই আগষ্ট কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে বাঁকুড়ার ছাতনায় “আদি বাঁশুলি মায়ের মন্দিরে” ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও হেঁতাল পারেখের আত্মার শান্তি কামনায় একটি বিশেষ পূজা ও যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ । তারপর আজ ছাতনার কামারকুলি মোড়ে একটি ঐতিহাসিক পথসভার আয়োজন করতে চলেছে মঞ্চের সদস্যরা । তার আগে গত ১৩ই আগষ্ট মঞ্চের প্রতিনিধিরা বাঁকুড়ার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ, ছাতনা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন । তারপর এদিন বাঁকুড়া ও ছাতনার বিভিন্ন স্থানে সারাদিনব্যাপী ব্যানার পোস্টার, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসংযোগ কর্মসূচিও পালিত হয় ।

এদিকে ফাঁসির এত বছর পরেও কেন এই জনআন্দোলন, প্রশ্ন করা হলে কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য সেই সময় আমি ছোট ছিলাম, কিন্তু আজ মানুষের বিশ্বাস এবং সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা দাবী করছি মূলত প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের চক্রান্ত এবং বিচার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই নিরপরাধ ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছে । কোনরকম প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া মূলত আসল অপরাধীকে আড়াল করার জন্যই বলির পাঁঠা করা হয়েছিল ধনঞ্জয়কে । একজন ধর্ষকের বিচারের বদলে বিচার ব্যবস্থার ধর্ষণ করা হয়েছে সেই সময় । তাই এই মামলাটির পুনর্বিচার না হওয়া পর্যন্ত যতদিন ভারতের বিচার ব্যবস্থা থাকবে ততদিন বিচার ব্যবস্থাকে এই লজ্জা বহন করতে হবে । আগামী দিনে কলকাতার কোর্ট চত্বরে এবং বাঁকুড়ার কুলডিহি গ্রামে ধনঞ্জয় বাবুর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করার পাশাপাশি ধনঞ্জয়ের ডাক নাম অনুসারে তার গ্রামের নাম আমরা “ধনাডিহি” করতে চাই । আইনি প্রক্রিয়া এবং জনতার আদালতে আমরা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও হেঁতাল পারেখকে জাস্টিস দিতে চাই । আমাদের এই লড়াই ততদিন চলবে যতদিন না আমরা একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা এবং অপরাধমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা স্থাপন করতে পারছি । এই আন্দোলনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করার জন্য চন্দ্রচূড় বাবু কো কনভেনর অনামিকা মন্ডল, বাঁকুড়ার কনভেনর বঙ্কিম মিশ্র, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি এবং আন্দোলনের সাথে যুক্ত সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *