ধূপগুড়ি শহরে গ্রেপ্তার অফলাইন প্রতারনার প্রতারক, ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা শহর জুড়েই
ধূপগুড়ি : অনলাইন প্রতারণা নিশ্চয় শুনছেন!এবারে অফলাইন প্রতারণা চক্র সক্রিয় ধূপগুড়িতে।চোখের পলকে ১০০০০ টাকা খোয়ালেন এক ব্যবসায়ী।রুমালের বাধা ৮০ হাজার টাকা নিমিষেই কাগজের নোটে রুপান্তরিত হল।এমন ঘটনায় দিশেহারা ব্যবসায়ী সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন অবশেষে সুযোগ পেয়েই পাকড়াও করলেন প্রতারক কে।
মাস ২এক আগে প্রতিদিনের মতো ধূপগুড়ি সুপার মার্কেটে বাজার করতে গিয়েছিলেন ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাড়ার বাসিন্দা মোঃ মহিরদ্দিন।সুপার মার্কেটে পৌঁছতেই হঠাৎ একব্যক্তি তার কাছে এসে জানান তিনি বিহারের বাসিন্দা তার কাছে খুচরো নোট থাকায় তার বাড়ি ফিরতে অসুবিধা হচ্ছে।তিনি চান নোট গুলি বড় নোটে বদলে ফেলতে।পাশ থেকে তারই এক সহযোগী এগিয়ে এসে যাচক হয়ে সাহায্য করতে উদ্যত হন এবং কথার জালে মো: মহিরদ্দিন কে ফাঁসিয়ে নোট বদলে আনলে ১০০০ টাকা ভাগ দেবার লোভ দেখান।
এদিকে মহিরদ্দিন রাজি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি রুমালে বাঁধা একটি নোটের বান্ডিল বের করে প্রমান স্বরুপ ২০০০ টাকার বান্ডিল দেখিয়ে ফের রুমাল বেধে টাকা বদলে আনার জন্য দেন। সেই মুহূর্তে প্রতারকের সহযোগী মহিরদ্দিন কে এও বলেন আমরা তো ৮০০০০টাকা বদলাতে নিয়ে যাচ্ছি এই বলে সে ১০০০০ এবং মহিরদ্দিনের কাছ থেকে ১০হাজার নিয়ে মোট ২০ হাজার প্রতারকের হাতে জমা দিয়ে নোট বদলাতে এগিয়ে যান। কিন্তু কিছুটা যেতেই হঠাৎ পেছন ফেরে মহিরদ্দিন দেখেন সেই মধ্যস্থতাকারী ও অভিযুক্ত প্রতারক সেখান থেকে উধাও।এবারে সন্দেহ হলে রুমাল খুলে দেখতেই তার চক্ষু চড়কগাছ দেখেন রুমালে টাকার মতো যেগুলো বাঁধা রয়েছে সেগুলি আসলে টাকা নয় খবরের কাগজ কে ভাঁজ করে টাকার মতো করে রাখা হয়েছে।
এর পর তিনি বাজার চত্বরে তাদের খুঁজে বেড়ালেও না পেয়ে অগত্যা সেই কাগজের নোট নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।শনিবার ফের বাজারে গেলে ঐ প্রতারক কে দেখতে পেয়ে ধরে ফেলেন এর পর উপস্থিত জনতা তাকে আটকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।