ধেয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা, এই জায়গাগুলিতে আজ দিনভর বৃষ্টির সম্ভাভনা পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপটে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কাঠফাটা গরমেই এপ্রিল মাস কাটাতে হলেও, অবশেষে স্বস্তি মিলছে মে মাসের শুরু থেকেই। বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন রাজ্যে নেমেছে বৃষ্টি পশ্চিমি ঝঞ্চা ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে। এবার দেখা গেল বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনাও। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই মূলত একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরের উপরে, যা পরবর্তীতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় হয়ে। বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায়, ঘূর্ণিঝড় হলে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা-তেই । তবে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, আবহাওয়া দফতর সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছুই জানায়নি। আপাতত জানা গিয়েছে পশ্চিমি ঝঞ্চার জেরে উত্তর ভারতে প্রবল বৃ্ষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ।এমনকি হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে উত্তর ভারতের পাঁচ রাজ্যে ।
জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা-
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর ভারতের উপরে বর্তমানে একটি শক্তিশালী পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে। এর জেরে একাধিক রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে আজ দিনভর হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শিলাবৃষ্টি হতে পারে হিমাচল প্রদেশে। এই পাঁচ রাজ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, হরিয়ানা ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ পাকিস্তানের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে দুটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে। এরফলে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধীরে ধীরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে, যার জেরে তাপমাত্রার পতন হচ্ছে। আগামী ১৪ মে অবধি তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার তুলনায় কমই থাকবে। ১৪ মে-র পর থেকে তাপমাত্রা ফের বাড়তে শুরু করবে।বেশ কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।
রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস-
অন্য়দিকে, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানানো হয়েছে, নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না হলেও, বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই। আগামী ১০ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হতে পারে মোখা। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাতেই প্রভাব পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দুই রাজ্যের তরফে । একদিকে যেমন নবান্নের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে করেছেন । সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে কন্ট্রোল রুম খোলার। অন্যদিকে, এনডিআরএফ কর্তা ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও ।