নজরে মধ্যবিত্ত ক্রেতা, ব্লু-স্টার বাজারে আনলো ১৫০টি মডেলের নয়া এসির সম্ভার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শৌভিক ব্যানার্জি, কলকাতা : তীব্র দাবদাহে হাসফাস করছে বাংলা। এইসময় রুম এসির চাহিদায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, কারণ গরম প্রচণ্ড বেড়ে যাচ্ছে আর ভারতের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির খরচ করার মত আয় ক্রমশ বাড়ছে। উপরন্তু এই বৃদ্ধির জ্বালানি হিসাবে কাজ করছে টিয়ার ৩, ৪ আর ৫ শহরগুলির বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা। সঙ্গে আছে পুরনো এসি এক্সচেঞ্জ করার ক্রেতারা এবং সেইসব ক্রেতারা যাঁরা নিজের বাড়ির অন্য ঘরের জন্যও এসি কিনছেন। হিসাব বলছে, ভারতের এসি শিল্প ২০৩০ আর্থিক বর্ষের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য পশ্চিমবঙ্গ তারমধ্যে অগ্রনী ভূমিকাতেই থাকবে।

এহেন সময়ে, ব্লু স্টার লিমিটেড আজ রুম এসির ১৫০টি মডেলের সার্বিক সম্ভার বাজারে আনলো, সঙ্গে আসন্ন গ্রীষ্মের মরশুমের জন্য একটি ‘ফ্ল্যাগশিপ প্রিমিয়াম’ সম্ভার। এর মধ্যে আছে ইনভার্টার এসি, ফিক্সড স্পিড এসি আর উইন্ডো এসি, যা সবরকম দামের প্রত্যেক ক্রেতার প্রয়োজন মেটাবে।

এব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রী বি ত্যাগরাজন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ব্লু স্টার লিমিটেড, জানালেন, “২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে আরও প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মধ্যবিত্ত ক্রেতা তৈরি হতে চলেছে। ফলে রুম এসির বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী এবং আগামী কয়েক বছরে বিপুল হারে বৃদ্ধি পাবে। আবাসন সেক্টরের বৃদ্ধি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বৃদ্ধির মত ইতিবাচক প্রবণতাও আমাদের শিল্পক্ষেত্রের ভবিষ্যৎকে রূপ দেবে। এটা আমাদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ”।

জানা গেছে, কোম্পানি ৩-স্টার ও ৫-স্টার বিভাগে মডেলগুলির এক সার্বিক সম্ভার লঞ্চ করেছে, যেগুলি চরম আবহাওয়ায় ঠান্ডা করার উচ্চমানের কর্মদক্ষতা রয়েছে। এছাড়া আছে ‘সুপার এনার্জি এফিশিয়েন্ট এসি’, ‘হেভি-ডিউটি এসি’, ‘হট অ্যান্ড কোল্ড এসি’ আর ‘এসিজ উইথ অ্যান্টি-ভাইরাস টেকনোলজি। এই মডেলগুলি পাওয়া যাচ্ছে ০.৮ TR থেকে ৪ TR পর্যন্ত নানারকম ঠান্ডা করার ক্ষমতায়। দামও নাগালের মধ্যেই, ২৮,৯৯০/- থেকে শুরু।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, নতুন লঞ্চ হওয়া এসিগুলি বিভিন্ন শক্তিশালী ফিচারে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে আছে এক উদ্ভাবনীমূলক ফিচার, যার নাম ‘AI Pro+’। এ এক জটিল ও ইনটুইটিভ অ্যালগোরিদম যা বিভিন্ন প্যারামিটার ধরে নেয়, সেই অনুযায়ী এদিক ওদিক করে, খেয়াল করে এবং সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। আরেকটি ফিচার হল ‘ডিফ্রস্ট ক্লিন টেকনোলজি। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় কয়েল ফ্রস্টিং করে, তারপর আসে মেল্টিং ও ড্রাইং, যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং এসির আয়ু বাড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *