নতুন করে আক্রান্তের কোনও খবর নেই মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে , নিয়ন্ত্রণে এল করোনার সংক্রমণ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যখন দেশজুড়ে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তখন স্বাস্থ্য মহল আশঙ্কার প্রহর গুনেছিল ধারাভি নিয়ে। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নয়। এশিয়ার এই বৃহত্তম বস্তি অচিরেই পরিণত হবে গোটা দেশের কোভিড হটস্পটে।এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন অনেকে। , একথা সত্যি যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কিন্তু অতিমহামারী শেষপর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে এসেছে আমজনতার সচেতনতা ও প্রশাসনিক তত্পরতায়।
আগেই সামলানো গেছিল ফার্স্ট ওয়েভের ঝাপ্টা। এবার ধারাভির বাসিন্দারা পরাস্ত করলেন কার্যত দ্বিতীয় ঢেউকেও। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সেখানকার একজনও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হননি গত ২৪ ঘণ্টায়। ১১ ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এমন ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর করোনার আঁচ ছড়ানোর পর ৬ হাজার ৮৬১ জন মোট আক্রান্ত হন গোটা এলাকায়। তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৯০০ জন, শতাংশের হিসেবে ৪২%, ভুক্তোভোগী দ্বিতীয় ঢেউয়ের।
এদিকে গ্রাফও চড়ছিল ফেব্রুয়ারি থেকেই। তা চরমে পৌঁছয় মার্চে গিয়ে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকে এক নাগাড়ে। কোভিডে সংক্রামিত হন দৈনিক গড়ে ৫০ জন বস্তিবাসী। বৃহন্মুম্বই পুরসভা বাধ্য হয়ে ঠিলছোড়া দূরে বনিতা সমাজ হলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ২৫০ শয্যার সেই কেন্দ্রও উপচে পড়ে ২৩ মার্চের মধ্যে। উপায় না দেখে আশপাশে আরও দু’টি সেন্টার খোলা হয় রোগীভর্তির চাপ সামলাতে।
যদিও ছবিটা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে মে মাস থেকে। আক্রান্তের সংখ্যা অবশেষে কমতে থাকে ১০ মে থেকে। ২৬ মে-র পর ১০-এর নীচে নেমে যায় দৈনিক সংক্রমণও। ধারাভি বস্তিতে মাত্র ১৩ জন সক্রিয় রোগীর খোঁজ মিলেছে সোমবারের আগে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে, ৩ জন চিকিত্সাধীন কোভিড কেয়ার সেন্টারে। বাকিদের ছ’জন আপাতত রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। খবর মিলেছে সকলের অবস্থাই স্থিতিশীল বলেই।