নার্সদের নিয়ে “কদর্য বিনোদন” টিভি চ্যানেলে, ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালো নার্সেস ইউনিটি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বেসরকারি একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে COVID-19-এর সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যেও সম্প্রচারিত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠানের একটি পর্বে নার্সদের নিয়ে একটি “অত্যন্ত কুরুচিকর বিনোদনমূলক ” উপস্থাপনা করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নার্সেস ইউনিটি নার্সদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে ওই চ্যানেলের প্রোগ্রাম হেড-কে। এর পাশাপাশি সব মাধ্যম থেকে ওই পর্বটিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। নার্সদের এই সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আরও জানিয়েছে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট স্তরে অভিযোগ জানানো হবে নার্সদের নিয়ে এমন “কদর্য বিনোদনে”র বিরুদ্ধে।
৩ অগাস্ট সম্প্রচারিত হয়েছে বেসরকারি ওই টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের ওই পর্বটির। সম্প্রচারিত এই পর্বের বিষয়টি নজরে আসার পরেই নার্সদের সংগঠন, নার্সেস ইউনিটি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। বুধবার, ৫ই অগাস্ট নার্সদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেসরকারি একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠানে ৩ অগাস্টের পর্বে “অত্যন্ত কুরুচিকর” অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে নার্সদের নিয়ে।
COVID-19-এর সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যেও নার্সরা এবং COVID-19 রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত অন্যরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মোকাবিলা করছেন এই মারণ ভাইরাসের। ইতিমধ্যেই COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন অনেক নার্সও, COVID-19-এ আক্রান্ত নার্সের এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে নার্সিং সমাজ আহত নার্সদের নিয়ে এমন “কদর্য ও কুরুচিকর বিনোদন” উপস্থাপনার কারণে।নার্সেস ইউনিটির তরফে এও জানানো হয়েছে, COVID-19-এর এই সময় যাঁরা বিনোদন পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন, সুশীল সমাজ আরও একটু দায়বদ্ধতা আশা করে তাঁদের কাছ থেকে।
তবে, শুধুমাত্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ নয়। নার্সেস ইউনিটির আরও দাবি , জনপ্রিয় ওই অনুষ্ঠানের ওই পর্বটি দেখা যাচ্ছে এমনকি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও। তারা এও দাবি করেছে সম্প্রচারিত এই পর্বটিকে সরিয়ে দিতে হবে সমস্ত মাধ্যম থেকে। এছাড়াও নার্সদের কাছেও ক্ষমা চাইতে হবে ওই চ্যানেলের প্রোগ্রাম হেড-কেও ।নার্সেস ইউনিটির সেক্রেটারি ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, “মানুষের জীবন যখন চরম সংকটে, নার্সরা তখন নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন বলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই। , বিনোদন যাঁরা পরিবেশন করছেন তাঁদেরও কিছু দায়িত্ব থাকার কথা। যা খুশি তাই তাঁরা করতে পারেন না।”