নির্যাতিত পুরুষদের সামাজিক ও আইনী সাহায্য প্রদান এবং পুরুষের সমানাধিকারের দাবীতে মঞ্চে এবার আত্মপ্রকাশ ঘটলো “পুরুষাধিকার DOTCOM” এর
নিজস্ব সংবাদদাতা: ডাক্তার তিলোত্তমার বিচারের দাবীতে সারা পৃথিবী উত্তাল হয়েছে কিন্তু দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়ের সন্দেহজনক মৃত্যুতে সমাজ কেন অদ্ভুত ভাবে চুপ এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললো পুরুষের সমানাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলা “পুরুষাধিকার DOTCOM” নামের একটি সর্বভারতীয় সামাজিক সংগঠন । ভারতীয় সংবিধানে নারীপুরুষের সমানাধিকার নেই বা অত্যাচারিত পুরুষ এই সমাজে যথাযোগ্য বিচার পায়না, এই অভিযোগ বহু দিনের । নির্যাতিত পুরুষদের নিয়ে “অল বেঙ্গল মেনস্ ফোরাম” দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে । কিন্তু এবার সর্বভারতীয় স্তরে নির্যাতিত নিপীড়িত পুরুষদের সমস্ত রকম সামাজিক ও আইনী সাহায্য করতে এবং পুরুষের সমানাধিকারের দাবীতে দেশব্যাপী প্রচার করতে “পুরুষাধিকার DOTCOM” নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আত্মপ্রকাশ করলো । “মর্দ কো ভি দর্দ হোতা হ্যায়” এইরূপ কোটেশন এবং স্বেচ্ছাসেবীদের কন্টাক্ট নম্বর দিয়ে গণমাধ্যমে রীতিমতো প্রচার করে নির্যাতিত পুরুষদের যোগাযোগ করার পরামর্শ দিল সংগঠনের সদস্যারা । সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো এই সংগঠনের কোর কমিটির সকল সদস্যা কিন্তু নারী। এদিকে সংগঠনের অন্যতম সদস্যা যাজ্ঞসেনী বলেন সম্প্রতি উত্তরপ্রদেধের মিরাটে মার্চেন্টনেভি স্বামীকে পনেরো টুকরো করে ড্রামে ভরে রাখা বা কলকাতার সন্নিকটে মধ্যমগ্রামে পিসি শাশুড়িকে হত্যা করে ট্রলিব্যাগে ভরে এক মহিলার গঙ্গায় ফেলতে যাওয়ার মত ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় অপরাধ জগতে আজ নারী পুরুষের কোন বিভাজন হয়না ।

এই সংগঠনের দেবস্মিতা ও চৈতালীর বক্তব্য “সংবিধান যদি নারী পুরুষকে সমান চোখে দেখে বলে দাবী করে, তাহলে সংবিধানে নারীর বিরুদ্ধে পুরুষের উপর ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন করার মত ঘটনায় যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদানের বিধান নেই কেন ?” মৌমিতা ও সোমা আরও একধাপ এগিয়ে বলেন “আজকে বিশ্বায়নের যুগে প্রতিদিন একাধিক বিবাহ বিচ্ছেদের মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে । নারীপুরুষ যদি সমান হয়, তাহলে কোন লজ্জায় নারীরাই শুধু হাতপেতে খোরপোষের টাকা চাইছে ?” সংগঠনের আরও এক বিশিষ্ট সদস্যা অনামিকার বক্তব্য “ভারতবর্ষে বহু মিথ্যা বা সাজানো নারী নির্যাতনের ঘটনায় অনেককে শাস্তি পেতে হয় । বিবাহ বিচ্ছেদের পর জীবন বা ভার্জিনিটি নষ্টের কারণে যদি খোরপোষ দাবি করা হয় তাহলে প্রশ্ন ওঠে পুরুষদের কি জীবন বা ভার্জিনিটি নেই ? বিবাহ বিচ্ছেদের টাকা হাত পেতে চেয়ে আমরা মহিলারাই কি নিজেদেরকে সমাজের চোখে পণ্য করে তুলছি না ?” পোষ্টার, ব্যানার ও গণমাধ্যমে নিজেদের ফোন নম্বর দিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন যাজ্ঞসেনী, দেবস্মিতা, চৈতালী, মৌমিতা, সোমা এবং অনামিকার মত “পুরুষাধিকার DOTCOM” এর সদস্যারা । তাদের এই আন্তরিক প্রয়াস আগামীদিনে ভারতীয় সমাজ ও বিচার ব্যবস্থায় যে একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হতে চলেছে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ।
